বরিশালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা ২২ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ।
বরিশালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে গত ১৮ জুলাই রাতে হামলার ঘটনায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে হুকুমের আসামী করে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির নামে দুটি মামলা করেছেন ইউএনও মুনিবুর রহমান এবং কোতয়ালি মডেল থানার একজন এসআই। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাছাড়া বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের নামে আজ আদালতে দুটি নালিশী মামলার আবেদন করা হয়েছে। বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ আবেদনকারীদের পক্ষে জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন। বিচারক মামলা গ্রহণের আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
এই দুই মামলার বাদী হলেন সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন।
বাদী বাবুল হালদারের মামলায় ইউএনওসহ ৪৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম খোকনের মামলায় ইউএনওসহ আটজনের নামসহ এবং অজ্ঞাতসহ ৫৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট রাতে সদর উপজেলা চত্বরে ব্যানার ও পোস্টার অপসারণের সময় সিটি কর্পোরেশন কর্মীদের বাধা দেয় ইউএনওর বাসভবনে দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা। পরে কর্পোরেশন কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতারা সেখানে গেলে ইউএনও’র সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। রাত ১১টার দিকে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে নেতাকর্মীরা। ঢুকে পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন প্রাঙ্গনে।
এসময় আনসার সদস্যরা অ্যাকশনে গেলে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৩০ নেতাকর্মী।