ফরচুন বরিশালকে ৬৩ রানে হারিয়ে বিপিএলে দাপট ধরে রাখল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সাকিব আল হাসান, ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভোর ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিপিএলে টানা দ্বিতীয় হার দেখল বরিশাল। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল গুটিয়ে যায় একশ’র আগেই।
মিরপুরে রাতের ম্যাচে ১৫৯ রানের লক্ষ্য আহামরি কিছু নয়। তবে কুমিল্লার বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে বরিশালের সামনে তা হয়ে যায় পাহাড়সমান। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। তারপরও ৯৫ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল। ১৭.৩ ওভারে অলআউট হয় তারা। শান্ত ৪৭ বলে করেন ৩৬ রান। মারেন দুটি চার।
বিপিএল ইতিহাসে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ডে নাম লেখান কুমিল্লার অফস্পিনার নাহিদুল ইসলাম। ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করেন এ তরুণ। ভাগ বসান ৬ বছর আগে করা শহিদ আফ্রিদির রেকর্ডে।
৪ ওভারের কোটা শেষ করা বোলারদের মধ্যে এককভাবে আফ্রিদি রেকর্ডটি ধরে রেখেছিলেন। ২০১৫ সালের আসরে সিলেট সুপার স্টারসের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫ রান দেন আফ্রিদি। তুলে নেন দুটি উইকেট।
মঙ্গলবার মিরপুরে নাহিদুল নিয়েছেন তিন উইকেট। ক্রিস গেইলকেও (৭) ফেরান তিনি। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বরিশালের শুরুর তিন ব্যাটারকে ফেরান নাহিদুল। গেইলের আগে সাজঘরে পাঠান সৈকত আলী (০) ও সাকিব আল হাসানকে (১)।
তৌহিদ হৃদয় ১৯ ও নুরুল হাসান সোহান করেন ১৭ রান। তিন ব্যাটারই কেবল ছুঁতে পারেন দুই অঙ্ক। তানভির ইসলাম, করিম জানাত ও শহিদুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। শান্তকে ফিরিয়ে বরিশাল ইনিংসের শেষ পেরেকটি মারেন মোস্তাফিজুর রহমান।
মিরপুরে সিলেটের বিপক্ষে শতরানে থেমেছিল ঢাকার ইনিংস। দিনের দ্বিতীয় খেলায়ও আভাস ছিল তেমনই। কিন্তু মাহমুদুল হাসানের গড়ে দেয়া ভিতে শেষে করিম জানাতের ছোট্ট ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে কুমিল্লা। দুই রানের জন্য ফিফটি ছুঁতে না পারা জয় খেলেছেন ৩৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে জানাত ১৬ বলে করেছেন ২৯ রান।
টস জিতে বোলিংয়ে শুরুটা নিজেদের করে নিয়েছিলেন সাকিব-ব্রাভো। বরিশাল অধিনায়ক ২৫ রান খরচায় তুলে নেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস ও মুমিনুল হকের উইকেট। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন ক্যারিবিয়ান পেস বোলিং অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো।
বোলিংয়ে বরিশালকে দিনটা নিজেদের করতে দেননি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৩৫ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় করেছেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৮ রান। জয় একপাশ ধরে থাকলেও অন্যপাশে ইমরুল-মুমিনুল-ডু প্লেসিসরা আসা-যাওয়ার মাঝে ছিলেন।
১৮ ওভারে ১৩৪ রানে নাহিদুল ফিরলে শহিদুল ইসলামকে নিয়ে ২৪ রানের জুটি গড়েন করিম জানাত। আফগান তারকা ১৬ বলে করেন ২৯ রান। দুইশ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করা জানাত তিনটি বল মেরেছেন উড়িয়ে, ছিল একটি চারের মারও।