গত অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ খাত এগিয়ে থাকলেও মাত্র অর্ধেক বাস্তবায়ন করতে পেরেছে জ্বালানি খাত। এবার বিদ্যুৎ খাতের বাজেট বরাদ্দে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন। জ্বালানি খাতে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মাতারবাড়ির কয়লা-বিদ্যুৎ-এলএনজি’র সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প।
বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প দেরি করলেও নানামুখী উদ্যোগে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ প্রকৃত উৎপাদন ১০ হাজার ৯শ’ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও সঞ্চালন-বিতরণ ব্যবস্থায় দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যায়নি। এ কারণে বিদ্যুৎ সমস্যাও পুরোপুরি কাটেনি। ঘাটতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না গ্যাসখাতে। বরাদ্দ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায়ও বিদ্যুতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে জ্বালানি।
গত অর্থবছরে সংশোধিত এডিপি মিলে মোট ২৪ হাজার ৫শ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ চেয়েছে ৩১ হাজার ৬শ’ ২৭ কোটি টাকা। সঞ্চালন, বিতরণ লাইন, সাবস্টেশনসহ অন্যান্য দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে বরাদ্দ থাকছে বাজেটে।
জ্বালানি খাতে গত অর্থবছরে সংশোধিত এডিপিসহ মোট বরাদ্দ মিলেছিল ৪ হাজার ৩শ’ কোটি। প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীর গতিতে প্রায় ১ হাজার টাকা কমিয়ে এবার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৩ শ’ ৩৩ কোটি।
বিদেশে থেকে এলএনজি এনে গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলার চেষ্টায় গ্যাসের দাম বাড়ার আশংকা থাকবে। গ্যাসের দাম সহনীয় রাখতে এলএনজি খাতে ভর্তুকী দেয়ার ব্যবস্থা থাকছে নতুন বাজেটে।
আরও দেখুন সঞ্জয় চাকী’র ভিডিও রিপোর্টে: