বরগুনায় কলেজ ছাত্রী ফারিয়া আক্তার মালা হত্যা মামলার প্রধান আসামী প্রভাষক আলমগীর হোসেন পলাশকে ফাঁসি, অ্যাড. মাইনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারকে যাবজ্জীবন ও রিয়াজকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছে বরগুনার নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর আসামী ইমা রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে বরগুনার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই আদেশ দেন। এসময় আদালতে আসামীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলমগীর হোসেন পলাশ পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসন্ডা গ্রামের মৃত আ. লতিফ হাওলাদারের ছেলে। এ ছাড়াও বিপ্লব ও তার স্ত্রী ইমা রহমান এবং রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের আব্দুল মন্নান খানের মেয়ে কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ফারিয়া আক্তার মালার সঙ্গে বরগুনার ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন পলাশের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সাত বছর আগে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে মালার পরিচয় পলাশের সঙ্গে।
২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর মালাকে নিয়ে পলাশ তার ভাগ্নিজামাই আমতলীর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা অ্যাড. মো. মাঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের বাসায় বেড়াতে যান। ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিপ্লবের স্ত্রী তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যায়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মালাকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পলাশ। পরে লাশ সাত টুকরো করে ড্রামে ভরে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ বিপ্লব তালুকদারের বাসার ড্রাম থেকে নিহত মালার টুকরো টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক পলাশকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর পুলিশ বাদি হয়ে আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরের দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন পলাশ। তদন্ত শেষে পুলিশ এ মামলায় পলাশ, বিপ্লব, রিয়াজ ও বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানকে আসামী করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।