হাফিজ রায়হান: জামালপুরে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করা বন্যায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে জেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ। গত দু’দিনের বন্যায় পানির তোড়ে ২ কিশোর নিখোঁজ ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৮১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর।
এখনও যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ৬ উপজেলার ৫০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে উঁচু বাধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যার্তরা।
বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে খাদ্য সংকট দেখা দিলেও ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বানভাসী মানুষ এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন।
তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন বলেছেন, বন্যার্তদের জন্য ১২৮ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।