চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বন্যা: কোথাও উন্নতি, কোথাও অবনতি, ঢাকা ঘিরে শঙ্কা

আগামী তিন দিন গঙ্গা-পদ্মায় পানি বাড়তে থাকবে। পদ্মার গোয়ালন্দ ও ভাগ্যকূল পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর উজানে পানি কিছুটা কমায় কুড়িগ্রাম-রংপুর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে জামালপুর, গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

নতুন করে ঢাকার পূর্বাঞ্চলসহ দেশের মধ্য ও দক্ষিণ মধ্যাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর নলীন পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৬ ও কালিহাতীর যোগাচর পয়েন্টে ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের নওগাঁ-জসিহাটি ঝিনাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে অনন্ত ২০টি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

গ্রামে ঢুকছে পানি

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের নওগাঁ-জসিহাটি বেরী বাধ ভেঙে নওগাঁ, জসিহাটি, তারটিয়া, তীরঞ্জ, ফুলকী ও ময়থা গ্রামসহ অনন্ত তিনটি উপজেলার ২০টি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের আমন বোরো ধানের চারা বিনষ্টসহ উঠতি সবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া লৌহজং নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে পানি কমছে
ঠাকুরগাঁওয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দ্রুত পানি সরে যাচ্ছে। তবে বানভাসি মানুষ এখনও খোলা আকাশে, আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-গীর্জায় অবস্থান করছে নিদারুণ কষ্টে। আগ্রাসী বন্যায় ঘর-বাড়ি মাটিতে মিশে গেছে ।

ফিরে গিয়ে থাকবে কোথায় এসব মানুষ। ত্রাণ-সামগ্রী অপ্রতুল। তাই কেউ খাবার পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না এমন অভিযোগ বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের। স্থানীয় প্রশাসন বলছে- বন্যা কবলিত মানুষের খাবার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন তালিকা করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা হবে ।

জয়পুরহাটে বাঁধ মেরামত করায় রক্ষা পেয়েছে ১০ টি গ্রাম
কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জয়পুরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১০টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে জেলার তুলশীগঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। তবে এরই মধ্যে তুলশীগঙ্গা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ডান তীরে কালীতলা নামক স্থানে ফাটল দেখা দিলে তা দ্রুত মেরামত করায় পানিবন্দীর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অন্তত আরো দশটি গ্রামের মানুষ।