বন্যা কবলিত বিভিন্ন জেলাতে সবগুলো বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিছু কিছু এলাকাতে বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে অনেক এলাকায় বিদ্যালয় থেকে পানি নামলেও বাসা বাড়ি থেকে পানি সরে না যাওয়ায় এবং যাতায়াতের রাস্তা পানিতে তলিয়ে থাকায় নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নে নিস্তারিণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাট বয়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুলে দেয়ায় বন্ধুদের কাছে পেয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বইছে খুশির জোয়ার।
এসব বিদ্যালয় গুলোতে সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ক্লাস নেয়া হচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি ৫০ ভাগ হলেও অল্প দিনের মধ্যে আশানুরূপ উপস্থিতি হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।
এবারের বন্যায় জেলায় ১০৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের কয়েকটি উপজেলায় বন্যার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে বাসাইল উপজেলার প্রায় ৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৬টি মাধ্যমিক, ১১টি মাদরাসা ও ৩টি কলেজ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। বেশিকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাশ হচ্ছে বাড়ির উঠানে।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে এবারের বন্যায় ৭৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এর মধ্যে নদী ভাঙ্গনে সম্পুর্ণরুপে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। বিদ্যালয় গুলো থেকে পানি নেমে গেলেও রাস্তাঘাট গুলো চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শহীদুল ইসলাম।