হ্যাকার বা অন্য কেউ যেন যথাযথ আইনি অনুমোদন ছাড়া আইফোন আনলক করতে না পারে সেজন্য এর ডিফল্ট বা পূর্বনির্ধারিত সেটিংসে পরিবর্তন আনছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল।
আইফোনের ডিফল্ট সেটিংসে থাকা একটি ‘লুপহোল’ বা ফাঁকের কারণে এতদিন হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য বের করে আনা সম্ভব ছিল। প্রক্রিয়াটি জটিল হলেও অসম্ভব নয়।
এই ফাঁকের সাহায্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশেও ব্যবহারকারীর ডিভাইস ব্যবহারের সব তথ্য হ্যাক করার সুযোগ থাকে।
অ্যাপলের সেটিংস পাল্টে দেয়ার এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে অনুমতি ছাড়া আইফোনের কোনো হ্যান্ডসেট আনলক করা পুলিশের জন্যও আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়বে। নিরাপত্তা ত্রুটিটি সারিয়ে দিলে আর ওই চোরাই পথে আইফোনের ডিভাইসে থাকা ডেটা চুরি করে সরানো সম্ভব হবে না।
অ্যাপল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা সবসময়ই প্রত্যেকটি অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তাজিনত সুরক্ষা জোরদার করে যাচ্ছি। যেন আমাদের ক্রেতাদের হ্যাকার, আইডেন্টিটি থিফ ও ব্যক্তিগত তথ্যে অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচতে সাহায্য করা যায়।’
অবশ্য মার্কিন আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার কাজে বাধা দেয়ার জন্য এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে – এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে অ্যাপল।
ব্যবহারকারীর যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহের জন্য মার্কিন আইন বিভাগের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপে রাখার প্রধান বিরোধী এই অ্যাপল।
মার্কিন পুলিশ বাহিনীর মতে, আইফোন ও আইপ্যাড আনলক করা তাদের কাজের জন্য অত্যাবশ্যক একটি বিষয়।
কিন্তু ২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান বার্নার্দিনোতে ১৪ জনকে হত্যাকারী বন্দুকধারীর আইফোন আনলক করার জন্য পুলিশ অ্যাপলের সাহায্য চাইলে অ্যাপল সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রতিষ্ঠানটির যুক্তি, তারা কোনো ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারবে না।
পুলিশ তখন বলেছিল, অ্যাপলের সাহায্য ছাড়াও তারা আইফোন আনলক করতে সক্ষম। ব্যাপারটা অ্যাপলের অসহযোগিতায় আরও বেশি জটিল হলেও অসম্ভব নয়।
ওই সময় বহু আইফোন ব্যবহারকারী নিজেদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন।