জুতা(ফুটওয়্যার) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসকর্ট ফুটওয়্যার লিমিটেড বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে ৫০ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ায় মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
বৃহস্পতিবার চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৫ জুন কাঁচামাল ইনভেন্ট্রির উদ্দেশ্যে হাজারীবাগের মেসার্স এসকর্ট ফুটওয়্যার লিমিটেডে গিয়ে ৫০ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি উদ্ঘাটন করেন। শুল্ক গোয়েন্দা ওইদিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখতে পান, এসকর্ট ফুটওয়্যার লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি (বন্ড লাইসেন্স নং-১০২৩/কাস-পিবিডব্লিউ/২০১৫) বন্ডেড সুবিধায় জুতা তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ইনসোল, হার্ডনার, রিভেট, আউটসোল ইত্যাদি আমদানি করে তা দিয়ে জুতা তৈরি করে রপ্তানি না করে অবৈধভাবে অপসারণ করে খোলা বাজারে বিক্রি করেছে।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহীন আহমেদ ও পরিচালক সাজ্জাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
মইনুল খান আরও জানান, অপসারণ করা কাঁচামালের উপর প্রযোজ্য শুল্ককরাদির পরিমাণ ৫০ লাখ ১২ হাজার ৯৭৪ টাকা ৮৬ পয়সা। বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অভিপ্রায়ে এবং দেশীয় শিল্প-কারখানাকে উৎসাহিত করার জন্য বন্ডেড সুবিধার মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের কাঁচামাল বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
কিন্তু এই সুবিধার অপব্যবহার করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা অর্জন করছে। অন্যদিকে সরকার যথাযথ রাজস্ব হারাচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে কাজ করে যাচ্ছে।
একইসঙ্গে বন্ড প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকাকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতেরর মহাপরিচালক।