বনানীর এফআর টাওয়ার থেকে পোড়া ৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, নিহত সর্বমোট ১৯ জনের মধ্যে বাকিরা ভবন থেকে ঝাঁপিয়ে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যায় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এই তিনটি ফ্লোর থেকে ৯টি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছি। আর নিহত বাকি অধিকাংশই লাফিয়ে পড়ে মারা গেছে। আহত আছে ৭০জনের বেশি মানুষ।
আমাদের টিম কাল সকাল ১০টা পর্যন্ত কাজ করবে। তদন্তের স্বার্থে সকাল ১০টা পর্যন্ত আলামত সংগ্রহ করা হবে। এরপর আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করব। আর ভবনের দায় দায়িত্ব পুলিশকে ন্যস্ত করা হবে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এফআর টাওয়ারের অষ্টম, নবম ও দশম তলাতে বিভিন্ন ভিনাইল বোর্ড, প্লাস্টিক ও ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি বিশেষ করে কম্পিউটার থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
ভেতরে আমাদের ১০/১২টি টিম কাজ করছে। ভেতরে এখনো অনেক ধোয়া আছে। ভবনটির আট নয় ও ১০ তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন ঠিক কোন ফ্লোর থেকে লেগেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে তদন্ত করলে জানা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগুন লাগে দুপুর ১২ টা ৫২ মিনিটে। ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম ১ টা ৫ মিনিটে পৌছায়। পৌছতে আমাদের সময় লাগে মাত্র ১২ মিনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৪ টা ৪৫ মিনিটে। আর আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা হয় সন্ধ্যা ৭ টায়।