ইয়াবা ব্যবসার সাথে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম আলোচনায় এলেও যথাযথ প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। বদির বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ব্যবস্থা নিতে আরও প্রমাণের দরকার বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক সবাইকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এই অভিযান।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিরো টলারেন্স নীতিতে গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপি চলছে মাদকের বিরুদ্ধে আইন শৃক্সখলা বাহিনীর অভিযান। গোয়েন্দাদের পরিসংখ্যান বলছে, ফেন্সিডিলের পর ইয়াবায় ছেয়ে গেছে দেশ।কোনো ভাবেই ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এখনই মাদকের লাগাম টেনে ধরা না গেলে উন্নয়নের রূপকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় বলে মনে করছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসা করে অনেকেই অনেক টাকার মালিক বনে গেছে। তারা মাদকের পাশাপাশি অস্ত্রও কিনছে। এদের ধরতে গিয়েই বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা যার (বদি) নাম বলেছেন তিনি একবার জেলে গেছেন, তার বিষয়ে আমরা জানার চেষ্টা করছি। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলে আপনারাও তথ্য দিন।’
‘বদির বিরুদ্ধে কি কোনো প্রমাণ নেই?’এক সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আছে। তবে আমাদের আরও প্রমাণের দরকার। প্রমাণ না পেলে আমরা কারো কাছে যাচ্ছি না। আপনার কাছে যদি কিছু থাকে পাঠিয়ে দেবেন। সবার কাছে আহ্বান করছি, কারো বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রমাণ থাকে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। আমাদের কাছে যাদের প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ইয়াবার বিস্তারের জন্য মিয়ানমারের অসহযোগিতাকে দায়ী করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
চলমান মাদক দমন অভিযানে বন্দুকের ব্যবহার নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা সন্দেহ করলেও ঘটনাগুলো ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলেই দাবি করেছেন আসাদুজ্জামান কামাল।