সমস্ত পৃথিবীকে ‘প্রায়’ অচল করে দেয়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের ৬ মাস পার করছে বাংলাদেশ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে দেশে দেশে মৃত্যু ঘটেছে লাখ লাখ মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই কোটি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখেও ‘নিউ নরমাল’ জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষ। আর এ থেকে পিছিয়ে নেই দেশের আদালত অঙ্গনও।
করোনাকালে নতুন নতুন বাস্তবতার মুখোমুখী হয়ে এগিয়ে যেতে হয় আদালতগুলোকেও। সেই এগিয়ে যাওয়ার পথে ফুটে ওঠে বহুমাত্রিক দৃশ্যপট।
বন্ধ আদালতের দুয়ার
দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর গত ২৯ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আদালতগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তাতে বন্ধ হয়ে যায় নিয়মিত আদালতের দুয়ার। তবে প্রায় তিন মাসের টানা সাধারণ ছুটির মাঝে গত ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সাধারণ ছুটির সময়ে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলা শুনানির জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করেন।
বিপাকে আইনজীবীরা
দীর্ঘদিন নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায় দেশের বহু আইনজীবী অর্থনৈতিকভাবে বিপাকে পড়েন। তবে এই সংকটকালে তাদের পাশে দাঁড়ায় আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। করোনাকালে আর্থিক সহযোগীতার বিষয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘করোনার বিষয়টি বিবেচনা করে দেশের আইনজীবী সমিতিগুলোকে যতোটা সম্ভব আর্থিক সহযোগীতা করেছে বার কাউন্সিল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে বার কাউন্সিলের পাওনা ৯৬ লাখ টাকা এবং এর বাইরে আরো ৭৪ লাখ টাকা দিয়ে বার কাউন্সিল আমাদের সহযোগীতা করেছে। আর আমারা করোনার কারণে বিনা সুদে সমিতির সদস্য আইনজীবীদের প্রায় ১২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আড়াই হাজার আইনজীবীকে বিনা সুদে ঋণ দেয়া হয়েছে জানিয়ে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এর বাইরেও এককালীন আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে।
ভার্চুয়াল আদালতের নবযাত্রা
করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে আদালতগুলোতে টানা সাধারণ ছুটি চলার এক পর্যায়ে কিছু আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার দাবিতে সোচ্চার হন। এমন প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত আসে।
এরপর ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সে অধ্যাদেশ জারির পর গত ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের নবযাত্রা শুরু হয়। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মে পরবর্তী ৫০ কার্যদিবসে সারাদেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পরিচালিত অধস্তন আদালতে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৯টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। যেখানে জামিনপ্রাপ্ত শিশু রয়েছে ৭৫৫ জন।
দেশের অধস্তন আদালতে ৪ হাজার ৩১০টি মামলায় আত্মসমর্পণ আবেদন নিষ্পত্তি করে ১১ হাজার ৭৯৬ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়। আর জামিন নামঞ্জুর করে ৯৩৮ জন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঠানো হয় কারাগারে। এ সময়ের মধ্যে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ও আপিল বেঞ্চ থেকে বেশ কিছু জামিন আদেশ আসে।
দিনের পর রাতে ১৮ বিচারপতির শপথ
সর্বশেষ নিয়োগ পাওয়া হাইকোর্ট বিভাগের ১৮ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে গত ৩০ মে বিকাল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তবে কারিগরী ত্রুটির কারণে কোনো কোনো বিচারপতির শপথ গ্রহণ স্পষ্টভাবে শ্রুত না হওয়ায় প্রধান বিচারপতি পুনরায় সশরীরে তাদেরকে শপথ পাঠ করানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এরপর ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় খাস খামরায় তাদেরকে সশরীরে শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি।’
ভিডিও কনফারেন্সে আসামিকে দেখে রিমান্ড
ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আসামিকে স্বচক্ষে দেখে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করা যাবে বলে গত ৭ জুন বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
নতুন এই পন্থায় গত ২৮ জুন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের রিমান্ড শুনানি হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা ফটোসাংবাদিক কাজলকে ওইদিন কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে যুক্ত করা হয়। আদালত দু’পক্ষের শুনানি নিয়ে কাজলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জোরালো হয় নিয়মিত আদালত চালুর দাবি
সাধারণ ছুটির কারণে দীর্ঘদিন আদালতগুলো বন্ধ থাকার পর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার প্রেক্ষাপটে নিয়মিত আদালত চালুর দাবি তোলেন আইনজীবীরা। এরই ধারাবাহিতায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশের আদালতগুলো চালু করতে এবং এবছরের ক্যালেন্ডারে থাকা আদালতের ছুটি বাতিলের প্রস্তাব করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। গত ৮ জুলাই এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত আদালত খুলে দেয়ার দাবিতে ‘সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে কয়েকদিন সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমদ
এসব কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন।
আইনজীবীর নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা নিয়ে বিচার বিভাগ ও প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে ফেসবুকে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের জন্য দোষ স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় রক্ষা পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
‘দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় পরবর্তী কার্যক্রম চলানো হবে না বলে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পরিচালিত এই মামলার ভিডিও রেকর্ডিংটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করা হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ আদালত।’
নজিরবিহীন আগাম জামিন আবেদন
এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ব্যাংকক থেকে সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের করা আগাম জামিন আবেদন গত ২০ জুলাই সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এছাড়া বিদেশে থেকে আগাম জামিন চেয়ে আদালতের মুল্যবান সময় নষ্ট করায় জরিমানা হিসেবে ১০ হাজার পিপিই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিতে সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওইদিন দুই ভাইয়ের জামিন আবেদনের পক্ষে বিদেশ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি।
পরে এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়, ‘এমন নজিরবিহীন আগাম জামিনের দরখাস্ত পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম। আর আইন ও বিধি মোতাবেক বিদেশ থেকে আগাম জামিনের দরখাস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের বেআইনি এবং নীতিনৈতিকতা–বহির্ভূত দরখাস্ত পরিত্যাজ্য। এ ছাড়া আইন, বিধি ও প্র্যাকটিস ডিরেকশন মোতাবেক বাংলাদেশের সীমানার বাইরে থেকে আদালতে অ্যাডভোকেট (আইনজীবী) হিসেবে বক্তব্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের সীমানার বাইরে থেকে অ্যাডভোকেট হিসেবে মামলা পরিচালনাও বেআইনি এবং নীতি-নৈতিকতা বহির্ভূত।’
কালো কোট-গাউন থেকে মুক্তি
সময়ের প্রয়োজনে অনেক রীতিনীতিতে পরিবর্তন এলেও আদালতে কালো কোট বা গাউন পরিধানের রীতিতে কোন পরিবর্তন আসেনি। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে কোর্ট ড্রেসের বাধ্যাতামূলক অনুষঙ্গ কালো কোট ও গাউন ছাড়াই এখন সাদা শার্ট-প্যান্ট/শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ পরে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন হাইকোর্টের বিচারপতি ও আইনজীবীরা।
দেশে করোনা সংক্রমণের ঝুকির মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চলার প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে গত ১২ আগস্ট এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি একটি জারি করা হয়। এরপর থেকে বিচারপতি ও আইনজীবীরা কালো কোট ও গাউন ছাড়াই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন।
অবকাশকালীন ছুটি বাতিল
হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ‘ফুলকোর্ট সভা’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের এ বছরের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে গত ১৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মাে: আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের ২০২০ খ্রিস্টাব্দের বর্ষপঞ্জীতে থাকা ১৬ আগস্টের পরবর্তী অবকাশকালীন ছুটিসমূহ বাতিল করা হলো।’
করোনায় গেল বিচারক-আইনজীবীর প্রাণ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে দেশের একজন বিচারক ও অর্ধশতাধিক আইনজীবীর। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক’শ আইনজীবীসহ বিচারক ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী। যাদের অনেকেই এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন চিকিৎসাধীন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ জুন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লালমনিরহাট জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ।
সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঠিক কতজন আইনজীবী মারা গিয়েছেন তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের জনসংযোগ কর্মকর্তা ঈদ-উল-জান্নাত চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘দেশের প্রতিটি আইনজীবী সমিতিতে আমারা চিঠি দিয়েছি করোনায় মারা যাওয়া আইনজীবীদের তথ্য চেয়ে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ৮ জন আইনজীবী করোনায় মৃত্যুর বিষয়ে তথ্য এসেছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘গত মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ৫০ জন আইনজীবী মারা গেছেন। তবে এদের মধ্যে আমার জানা মতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন।’
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘মাস খানেক আগের তথ্য অনুযায়ী আমাদের সমিতির ২৭ জন আইনজীবী করোনায় মারা গেছেন।’
সরব আদালত প্রাঙ্গণ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই দীর্ঘদিন পর আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদচারণায় সরব হয়েছে দেশের আদালত প্রাঙ্গণ। মাস্ক পরাকে বাধ্যাতামূলক করে স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের সকল অধস্তন আদালত সমুহে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে হাইকোর্টের ১৮টি বেঞ্চের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম। সেই সাথে চলছে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ও আপিল বেঞ্চ।