রাজধানী ঢাকা ছয় মাসের মধ্যে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। জুনের মধ্যেই শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু স্টেশন, যানজট নিরসনে নতুন ইউলুপ এবং টঙ্গী থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত সিটি ক্যামেরা স্থাপন করে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ঘোষণাও দেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরে বাংলা নগর থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, জলাবদ্ধতা শিক্ষা, ক্রীড়া, পানীয় জল সরবরাহ ও অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন।
ঢাকা উত্তরের মেয়র রাজধানীকে দর্শনীয় নিরাপদ এবং অবৈধ স্থাপনা ও যানজটমুক্ত করতে নানা পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
ঢাকা উত্তর সিটির কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, যানযট নিরসনে এক হাজার সিসিটিভি বসানোর কাজ করছি। এটা শুরু হবে টঙ্গী থেকে সোনারগাঁ মেইন রোড পর্যন্ত। এছাড়া বসুন্ধরা ও হাতিরঝিলেও এ ব্যবস্থা থাকবে।
রাজধানীতে চলাচলকারী সাড়ে চার হাজার যানের প্রায় সাড়ে তিন শ’ মালিককে পাঁচটি মালিকানার আওতায় এনে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর পরিকল্পনা তুলে ধরেন মেয়র। রাস্তার উপর নির্মাণ সামগ্রী রাখা ও আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে দোকান মালিক এবং রিহ্যাবকে সতর্ক করে ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি।
সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো এবং নাগরিকদের নিজেদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।
তেঁজগাও জোনের এডিসি ট্রাফিক সাইফুল হক বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য কোনো মাদক বা অবৈধ ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়ে থাকে তবে আমাকে জানান অথবা ধরিয়ে দিন।
যেসব স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা হয়েছে, সেসব স্থানের সুরক্ষায় পুলিশ প্রশাসন ও কাউন্সিলদের কাজ করার আহ্বান জানান সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতারা।
স্থানীয় সাংসদ জাহাঙ্গীর কবীর নানন বলেন, বর্তমান সময়ে জঙ্গিবাদের পাশাপাশি মাদক, ইয়াবা আমাদের ক্ষতি করছে।
লে: কর্নেল (অব) ফারুক খান বলেন, ইতিমধ্যে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে আরো উন্নতি দরকার।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।