সেই কবে থেকে দেখছি কৃষি ও কৃষকের বদলে যাওয়া জীবন ও জীবিকার নিবেদিত এক পালাকার হিসেবে। শহরে বাস করেও তিনি গ্রামবাংলার নিত্যসারথী। বলেই চলেছেন মাটি ও মানুষের গল্প। প্রথম দেখা বাংলাদেশ টেলিভিশনে। আমরা দুজনেই তখন বয়সে তরুণ। প্রযুক্তির ব্যবহারে কী করে গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে দেয়া যায়, সর্বক্ষণ সেই চিন্তায় বিভোর থাকেন শাইখ। কতো জায়গায় গিয়েছি এক সঙ্গে গ্রামের আধুনিক কৃষির অভিযাত্রা দেখতে। আমিও গ্রামীণ অর্থনীতির পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করি। নীতি অ্যাডভোক্যাসি করি। শাইখের সাথে আমার মনের মিল অনেকটাই। তিনি কৃষককে শুধু উৎপাদক হিসেবে দেখেন না। তারাও মানুষ। তাদেরও দুঃখ আছে। আছে আনন্দ। তাই তো তিনি তাদের ঈদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখতে পান তাদের নৌকাবাইচে, হাডুডু খেলাতে কিংবা লাঠি খেলাতে। আমিও কৃষকদের দেখে থাকি সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিতে। তাদেরও স্বপ্ন আছে। তাদের সন্তানেরাই যে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় করে বাংলাদেশের বহিঃঅর্থনীতিকে এতোটা চাঙ্গা রেখেছে। এই করোনাকালে তারাই আমাদের অর্থনীতির প্রধান রক্ষাকবচ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের কৃষক ও কৃষক সন্তানেরা যন্ত্রকে গ্রহণ করেছে বলে। আধুনিকায়নের ছোঁয়া যে লেগেছে গ্রামবাংলায় সে গল্প তো আমরা নিরন্তর শাইখ সিরাজের মুখেই শুনে আসছি।
রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন- “মানুষের কর্মশক্তির বাহন যন্ত্রকে যে জাতি আয়ত্ব করতে পারেনি সংসারে তার পরাভব অনিবার্য, যেমন অনিবার্য মানুষের কাছে পশুর পরাভব”। (রবীন্দ্রনাথ, ‘সমবায়নীতি, রবীন্দ্র রচনাবলী, চতুর্দশ খ-, পৃষ্ঠা : ৩২৭)। এই প্রযুক্তির কল্যাণেই যে আমাদের গ্রামবাংলা দ্রুতই বদলে যাচ্ছে সে কথা তো অস্বীকার করবার উপায় নেই। আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে আমি কয়েকটি গ্রামে সমীক্ষা করেছিলাম। আমার পিএইচডি থিসিসের জন্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যে ঐ সমীক্ষা চালিয়েছিলাম। সমীক্ষার তথ্যসমূহ পরবর্তী সময়ে আমার একটি বইতেও ছাপা হয়েছিল। আশির দশকের শুরুর সেই গ্রাম-বাংলাকে এখন আর মনে হয় চেনাই যায় না। পুরো গ্রামে সেদিন একটিও কলের লাঙ্গল ছিল না। থ্রেসারের তো প্রশ্নই ছিল না। সেচযন্ত্র সবে প্রাধান্য বিস্তার করতে শুরু করেছে। উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষককূল। গ্রামে তখনও বিদ্যুৎ তেমন ছিল না। আশেপাশের বাজারে গাছের চারা বিক্রি হতো না। সবজির চাষ ছিল খুবই সামান্য। রপ্তানি দূরের কথা, স্থানীয় বাজারে বেশি পরিমাণে সবজি বিক্রি করার মতো বাণিজ্যিক বুদ্ধি কৃষকের মাথায় তখনও সেভাবে আসেনি। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হাঁস-মুরগি ও মাছের চাষও আমার সমীক্ষা করা গ্রামে দেখিনি। মানুষ তার দু’টো হাত, পুরোনো লাঙ্গল, জোড়া বলদ নিয়েই ব্যস্ত। চাষবাসের নয়া প্রযুক্তি, নয়া ভাবনা থেকে তখনও বহুদূরে । আর গ্রাম থেকে বিদেশে গিয়ে প্রবাসী হবার চলও ছিল খুবই সামান্য। তাই বলা চলে গ্রামবাংলা তখনও নিশ্চল। তবে প্রযুক্তির প্রসার কোন কোন গ্রামে হতে শুরু করেছে। ব্যতিক্রম কুমিল্লা। বার্ডের উদ্যোগে অনেক কৃষক সেচ যন্ত্র ও কলের লাঙ্গলের সাথে পরিচিত হয়েছেন। সারা দেশের কথা হিসেবে নিলে এই ক’টি গ্রাম দলছুটই বলা চলে।
কিন্তু আমার গবেষণার সেই নিশ্চল গ্রাম আজ আর খুঁজে পাই না। নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে ঐ গ্রামে। কলের লাঙ্গল ডজন খানিক। থ্রেসার অনেকগুলো। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাছ ও মুরগির চাষ করছেন অনেকেই। বিদ্যুৎ আসার কারণে অনেকের ঘরেই টেলিভিশন। বর্ষাকালে অনেক মানুষ হাট থেকে চারা কিনে বপন করে থাকেন। ক্ষুদ্র ঋণের প্রসার ঘটেছে। পাশের হাটে শত শত ট্রাক আসে ধান, চাল, সব্জি নেবার জন্যে। ঐ গ্রামের অনেক ছেলেমেয়ে এখন বিদেশে। কেউ পড়ছে, কেউ কাজ করছে। অবশ্যি সকলের ঘরেই আধুনিক প্রযুক্তির সাফল্য না পৌঁছালেও তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার অনেকটাই ঘটেছে। মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। গ্রামেও ফেইসবুক সক্রিয়। বিউটি পার্লার, ডেকোরেটর, কফিশপের দেখা মেলে। দারিদ্র্য বেশ কমেছে। সামাজিক সুরক্ষা অনেকখানি বিস্তৃত হয়েছে। গ্রামীণ ক্ষমতায় নয়া বিন্যাস ঘটেছে। দুর্নীতি গ্রামেও পৌঁছে গেছে। ভালো-মন্দ মিলেই গ্রাম আর শহরের সংযোগ অনেকটাই বেড়েছে।
একই সঙ্গে সম্ভাবনাময় ও সমস্যাসংকুল গ্রামবাংলার এই বদলে যাবার প্রক্রিয়াটিকে দারুণ সাফল্যের সঙ্গে তুলে ধরেছেন যিনি তাঁর নাম ‘শাইখ সিরাজ’। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান দিয়ে যার যাত্রা শুরু। শুরুতে তিনি যে আগ্রহ, নিষ্ঠা ও উদ্যম নিয়ে অনুষ্ঠানটির সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে দিয়েছিলেন, পরবর্তী সময়েও এই ধারা তিনি অব্যাহত রেখেছেন। প্রাইভেট টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ এর তিনি মাত্র একজন উদ্যোক্তা পরিচালক নন। এই চ্যানেলের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ নামের অনুষ্ঠানে গ্রাম-বাংলার কৃষিভিত্তিক নানা উদ্যোগ ও সৃজনশীলতাকে সক্রিয় মদত দিয়ে চলেছেন। আমি তাঁর দুই পর্বের দুই অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করেছি এখনও করছি। এছাড়া আরও অনেক অনুষ্ঠান তার সঙ্গে করবার সুযোগ আমার হয়েছে। সর্বশেষ ‘কৃষির বাজেট কৃষকের বাজেট’ বিষয়ে অনুষ্ঠান করতে কুমিল্লার এক গ্রামেও গিয়েছিলাম। আরো গিয়েছিলাম রাজবাড়ির একটি গ্রামে। বাজেট নিয়ে সমুন্নয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। গভর্নর হিসেবেও তাঁর সঙ্গে বেশ কটি এলাকা সফর করেছি কৃষি ঋণের প্রসার ঘটানোর জন্যে । আমি সফল কৃষকদের সন্ধান তাঁর মাধ্যমেই পেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ নীতিমালা প্রণয়নে তাঁর অকুন্ঠ সমর্থন পেয়েছি। সর্বক্ষণ তাঁর আন্তরিক সহযোগিতায় আমি মুগ্ধ।
আমি তাঁর কাছে আরও কৃতজ্ঞ অন্তত দুটো কারণে। তিনিও রবীন্দ্রভক্ত। আমিও। আমি রবীন্দ্রনাথের কৃষি ভাবনা ও কর্ম নিয়ে কিছু করেছি বলে তাঁর চ্যানেল আই থেকে রবীন্দ্র পদকে ভূষিত করেছেন। গভর্নর থাকাকালে ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসারে কিছু নয়া রেগুলেশন দিয়েছি বলে আবারও তাঁর চ্যানেল আই আমাকে আজীবন সন্মাননা দিয়েছে। তাঁর এবং তাঁর সহযোগীদের এই বদান্যতায় আমি সত্যি আপ্লুত। উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার তাঁর এই প্রচেষ্টা সারাটা জীবন ধরেই দেখে আসছি। তাঁর নানা মাত্রিক সৃজনশীল অনুষ্ঠানে সুযোগ পেলেই তিনি আমাকে যুক্ত করেন। সেজন্য তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
এসব অনুষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত যে যোগাযোগ তাঁর সঙ্গে আমার গড়ে উঠেছে, তাতে আমার দৃঢ় আস্থা জন্মেছে যে, তিনি বাংলাদেশের মূল শক্তিটি কোথায় তা ধরতে পেরেছেন। গার্মেন্টসের পর কৃষিই যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, সে সম্ভাবনার সূত্রটি ঠিকই ধরতে পেরেছেন। একই সঙ্গে দেশের ভেতরের সবচেয়ে বেশি মূল্য সংযোজন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষমতা এই খাতেরই রয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। যে কারণে কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো খুবই জরুরি। আর তাই কৃষির উন্নয়নে বেশি বেশি গবেষণা করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। নয়া প্রযুক্তির কৃষির কারণে জনস্বাস্থ্য যাতে বিঘ্নিত না হয় সে রকম আইনী রক্ষাকবচের কথাও তিনি বারেবারে বলে চলেছেন। এই প্রেক্ষাপটে অস্বীকার করবার উপায় নেই যে জৈব-নিরাপত্তা আইনটির গুরুত্ব অসীম। পাশাপাশি প্রয়োজন কৃষির বহুমুখীকরণ। এজন্যে চাই প্রয়োজনীয় গবেষণা, সম্প্রসারণ, বাজারজাতকরণ এবং পুঁজি সমর্থন। প্রয়োজন শস্য গুদামের, বিদ্যুতের এবং পরিবহনের। এসব কিছু করতে হলে চাই প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কারের। আর এসব কথা নীতিনির্ধারকদের হরহামেশা স্মরণ করিয়ে দেন শাইখ সিরাজ। কৃষিতে পাশের দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম কি করছে তাও আমাদের জানতে সাহায্য করছেন শাইখ। আর যে কারণেই শাইখ সিরাজ তার নতুন পর্যায়ের টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’কে এমনভাবে সাজিয়েছেন যাতে নীতি-নির্ধারকরা অন্যদেশের সাফল্যের ধারাটা বুঝতে পারেন। যে কারণেই তিনি ছুটে যান বিদেশের কৃষকদের কাছে। চীন, ভিয়েতনাম কী করে কৃষির উৎপাদনশীলতা এতো দ্রুত বাড়ালো, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কীভাবে করলো সেসব বিষয় স্বচোখে দেখেছেন এবং তা তিনি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। তাঁর অনুষ্ঠানের কল্যাণে আমরাও এসব সাফল্যের কাহিনী জানতে পেরেছি। তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে বীজ বপনের জন্য ‘ড্রাম সিডার’ ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করেছেন এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যে জনমত গড়ে তুলেছেন। লিফ কালার চার্ট ব্যবহার করে জমিতে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কী করে কমানো যায় সে বিষয়ে জনমত গড়ে তুলেছেন।
শুধু বিদেশের সাফল্য কেন, দেশের ভেতরেও যেসব প্রযুক্তিগত সাফল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেগুলোর কথাও তিনি তাঁর অনুষ্ঠানে তুলে ধরেছেন। যেমন হরি ধানের উদ্ভাবনে এদেশের সফল উদ্যোক্তা হরিবাবুকে শুধু টেলিভিশনের পর্দায় তুলে আনেননি,তাকে পুরস্কৃত করারও উদ্যোগ নিয়েছেন। এদেশের সাধারণ মানুষ যেন কৃষি ও কৃষককে ভালোবাসেন সে জন্য রচনা প্রতিযোগিতা, কৃষকের বিশ্বকাপ নামের অনুষ্ঠানসহ নানামাত্রার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শাইখের বয়স বাড়ছে কিন্তু ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ এর টানে তিনি সর্বক্ষণ গ্রাম-বাংলা চষে বেড়াচ্ছেন। সারারাত গাড়িতে ভ্রমণ করে দূরে চলে যাচ্ছেন, অনুষ্ঠান রেকর্ড করে ফের পরের রাতে ঘরে আপনজনদের কাছে ফিরছেন। সংসারের আপনজনদের বঞ্চিত করে তিনি এদেশের কৃষকদের আপন করে নিয়েছেন। প্রতিবারই প্রাক-বাজেট পর্বে তিনি সারা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে যেভাবে কৃষকদের সঙ্গে বাজেট বিষয়ে আলাপ করেন, তাদের মতামত নেন, আমাদের এর সঙ্গে যুক্ত করেন । পুরো উদ্যোগটিই প্রশংসনীয়। এক ধরনের অঙ্গীকার ছাড়া এমন করে নিজেকে প্রান্তের মানুষজনের পক্ষে যে দাঁড়া করানো যায় না শাইখ সিরাজ তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। এমন নিবেদিত প্রাণ একজন মানুষের জন্যে আমরা এদেশে ঘরে ঘরে গাছ লাগানো, ছাদে বাগান করা, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে ওঠার আন্দোলন প্রত্যক্ষ করছি। তাঁর অনুপ্রেরণায় বিদেশ থেকে অনেক প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষিত কৃষি উদ্যোক্তা দেশে ফিরে মাল্টা, ড্রাগন ফলের চাষ করছেন। বিদেশি ও দেশি ফুলের বাগান করছেন। অল্প জায়গায় শিল্প কারখানার ভেতরও দেশি মাছের আধুনিক চাষ করছেন।
আসলে নানা সংস্কারে আচ্ছন্ন মানুষের মনকে বদলে দিতে পারলে, মানুষকে আরেকটু আশাবাদী ও উদ্যোগী করা গেলে দেশে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে বাধ্য তার প্রমাণ শাইখ নিরন্তর রেখে যাচ্ছেন। এই অক্লান্ত কর্মবীরকে সরকার স্বাধীনতা পুরস্কারে পুরস্কৃত করেছে। ম্যানিলা ভিত্তিক গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন। আরও অসংখ্য পুরস্কারে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন। আজকাল একটি দৈনিকে উদ্ভাবনীমূলক ও আধুনিক কৃষি ও কৃষকের সাফল্য নিয়ে প্রায়ই লিখছেন। এর ফলে আমরা নয়াকৃষির অনেক অজানা তথ্য পাচ্ছি। শাইখ সিরাজের কাছে অনুরোধ লেখালেখির কাজটি ছাড়বেন না। তরুণ প্রজন্মের জন্য এসব লেখা খুবই প্রয়োজনীয় বলে আমার ধারণা।
উদ্যমী এই মানুষটির পথচলাকে আরেকটু স্বস্তিময় করে তোলার জন্যে আমরা তাকে আরেকটু নৈতিক সমর্থন ও সাহস নিশ্চয় দিতে পারি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সক্রিয় থাকুন। বাংলাদেশ তথা গ্রামবাংলার দিনবদলের এই পালাকার আরও বহুদিন আমাদের এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নিত্যসারথী হয়ে থাকুন। তাঁর এবারের জন্মদিনে আমি সেই প্রত্যাশাই করছি।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)