নিজের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা বর্ণনা করে আদালতের কাছে বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস। রোববার দুপুরে সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে খাদিজা এ স্বাক্ষ্য দেন।
আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ১ মার্চ মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য্য করেছেন। দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত এই সাক্ষ্য গ্রহন চলে । এসময় বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন ।
সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আদালতে আসেন খাদিজা। পরে বিচারকের সামনে বদরুলকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত থেকে বের হয়ে খাদিজা ন্যায় বিচার পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, আর কোন মেয়ের যেন এমন পরিস্থিতি না হয়। এজন্য তিনি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন। তার সুস্থ্য হওয়ার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান বলেন, খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় মোট ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ৩২জন আগেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ খাদিজার সাক্ষ্য নেওয়ার পর আসামীপক্ষ সাফাই সাক্ষী দেবে না বলে সিদ্ধান্ত জানালে বিচারক যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন। ১ মার্চ যুক্তিতর্ক শেষে তারা আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে রাষ্ট্রপক্ষের কাছে প্রার্থনা করবেন বলে এই আইনজীবী জানান।
বদরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ বলেন, বদরুল তার দোষ স্বীকার করে খালাস পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।