নতুন বছরটাকে নানা ভাবে বরণ করা হয়। কোথাও পার্টি, লাউড মিউজিক এবং আতশবাজি দিয়ে আবার কোথাও অদ্ভুত কিছু রীতিতে। ফিচারে জেনে নিন নানা দেশের অদ্ভুত সেসব রীতিতে বর্ষবরণ সম্পর্কে।
প্লেট ভাঙ্গা: বাড়িতে কারও সঙ্গে ঝগড়া হলে রেগে প্লেট ছুড়ে ভেঙ্গে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু রাগ প্রকাশের এই ধরনেই নতুন বছর আগমনের আনন্দ প্রকাশ করা হয় ডেনমার্কে। বছর জুরে অব্যবহৃত এবং অল্প ভাঙ্গা প্লেট জমিয়ে রাখেন ডেনমার্কের মানুষ। ঘড়ির কাটা নতুন বছর ছুঁলেই দেয়ালে এসব প্লেট ছুড়ে ভেঙ্গে ফেলেন তারা। পুরো পরিবার মেতে উঠে প্লেট ভাঙ্গার আনন্দে।
আঙ্গুর খাওয়া: মুখে একবারে কয়টি আঙ্গুর ভরতে পারেন? স্পেনের মানুষেরা নতুন বছর বরণ করেন আঙ্গুর মুখে দিয়ে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, একবারে বারোটি আঙ্গুর খাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। মনে করেন, এটা তাদের সৌভাগ্য নিয়ে আসবে।
সব গোল: ফিলিপাইন্সের মানুষেরা গোল আকৃতিটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করেন। তাই নববর্ষে তারা সব কিছু ‘গোল চান। কয়েন ‘গোল’, তাই উপহার হিসেবে কয়েন দেন। খাবারও গোলাকৃতির খেতে ভালোবাসেন নতুন বছর বরণ করে নেয়ার অনুষ্ঠানে।
রঙচঙে আন্ডারওয়্যার: দক্ষিণ আমেরিকার মানুষ বিশ্বাস করেন, আন্ডারওয়্যারের রঙের সঙ্গে ভাগ্যের সম্পর্ক আছে। তাই নতুন বছরকে বরণ করতে তারা চাহিদা অনুযায়ী আন্ডারওয়্যারের রঙ বেছে নেন এবং সেটা পরেন। যেমন যার ভালোবাসার মানুষ প্রয়োজন, তিনি লাল আন্ডারওয়্যার পরেন। যার শান্তি প্রয়োজন তিনি বেছে নেন সাদা এবং যার সম্পদ প্রয়োজন তিনি পরেন সোনালী রঙ এর আন্ডারওয়্যার।
ঘণ্টা বাজানো: জাপানের মানুষেরা নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ঘণ্টা বাজিয়ে। মন্দিরের ঘণ্টা ১০৮ বার বাজিয়ে নতুন বছরের আগমন উদযাপন করেন তারা। তারা বিশ্বাস করেন ১০৮ বার ঘণ্টা বাজালে জীবনের ১০৮টি ইচ্ছা পূরণ হবে এবং ১০৮টি বিপদ কেটে যাবে।
আইসক্রিম ফেলে দেয়া: খুব আয়েস করে কোন আইসক্রিম খেতে গিয়ে পড়ে গেলে মন খারাপ হয় নিশ্চয়ই? সুইজারল্যান্ডের মানুষরা ইচ্ছে করেই কাজটি করেন। নতুন বছরের শুরুতে আইসক্রিম ফ্লোরে ফেলে দেয় তারা। তাদের বিশ্বাস এতে তাদের জীবনে সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি আসবে।
কবরস্থানে রাত কাটানো: চিলিতে একটি অদ্ভুত রীতিতে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। যাদের প্রিয়জন কবরে শায়িত আছেন, তারা নতুন বছরের রাত কাটান কবরের পাশে ঘুমিয়ে। তাদের বিশ্বাস, এতে মৃত স্বজনের আত্মা শান্তি পায়।