ইলিশ মৌসুমের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে গণ ডাকাতি। সোমবার বিকেল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে শতাধিক জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। খুলনায় জলদস্যুদের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধের পর অস্ত্রসহ এক জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাব।
বঙ্গোপসাগারে জলদস্যুদের তান্ডবে ইলিশ মৌসুমের শুরুতে চরম আতঙ্কে পড়েছেন জেলেরা। সোমবার রাতে জলদস্যুরা অপহরণ করেছে ট্রালারসহ শতাধিক জেলেকে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন । পটুয়াখালি কুয়াকাটার আলিপুর মাহিপুর বন্দর থেকে ১২ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। তাদের ব্যবহৃত ট্রলার জালসহ প্রয়োজনীয় সব নিয়ে গেছে তারা। এর আগে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া ১০ জেলের খোঁজ মেলেনি এখনো।
কোস্টগার্ড জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্টগার্ড স্টেশন নিদ্রা সখিনা, পাথর ঘাটা, নিজামপুর, রমনাবাদ, কারিগঞ্জ, হিজলা, বরিশালসহ আরো লঞ্চ দিয়ে টহল পরিচালনা করছি। নির্দিষ্ট এলাকার বাহিরে গভীর সমুদ্রে আমাদের কোস্টগার্ডের বড় সমুদ্র নেই।এর জন্য আমরা সব জায়গায় টহল দিতে পারিনা।
বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ৭০ কি: মি: দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে জলদস্যুরা ৩টি ট্রলারসহ অন্তত ৪০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ঘটনার সময় জলদস্যুদের হামলায় ১৫-২০ জেলে আহত হয়েছেন। সে সময় তিন জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে বলেও জেলেরা অভিযোগ করেছেন।
খুলনার কয়রা সংলগ্ন সুন্দরবনে র্যাব ও জলদস্যু ইলিয়াস বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির পর ২৩টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৩১রাউন্ড গুলিসহ শাহীনুর রহমান নামে এক দস্যু আটক হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায় লে. কমান্ডার মাহফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়।
এ সময় মুখোমুখি ১০/১৫মিনিট গোলাগুলির পর তাকে আটক করেতে সক্ষম হয় র্যাব। মৎসজীবী সমিতি জানিয়েছে উপকুলীয় অঞ্চলের জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এ মৌসুমে মাছ শিকার তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে। তারা জলদস্যু দমনে আকাশ পথে অভিযানের দাবি জানিয়েছেন।