একাধারে সংসার সামলেছেন আবার কঠিন সময়ে রাজনীতির হাল ধরেছেন, ফজিলাতুন নেছা মুজিবের এমন আদর্শিক জীবন নারী সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, যারা এদেশের এত ত্যাগ করলেন, তাহলে কেন ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড?
“বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু মাত্র সহধর্মীনিই ছিলেন না, পর্দার অন্তরালে থেকে সকল সংকট, সংগ্রামে- সাহস, শক্তি ও অনপ্রেরণা জুগিয়েছেন।”
বেগম মুজিবের আদর্শ অনুসরণ করে দেশ ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা পাঁচজন নারীকে সবোর্চ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক ২০২১’ এ ভূষিত করা হয়েছে। গণভবন থেকে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদক প্রাপ্তরা হলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে মরণোত্তর মমতাজ বেগম, শিক্ষায় মরণোত্তর জয়াপতি, কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে নুরুনাহার বেগম, রাজনীতিতে জোবেদা খাতুন পারুল এবং গবেষণায় নাদিরা জাহান। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী পদক ও সম্মাননা তুলে দেন।
বেগম মুজিবের অনেক সিদ্ধান্তে যেমন রাজনীতির মোড় ঘুরেছিলো তেমনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিরাঙ্গনাদের পুর্নবাসন করেছিলেন। দেশের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের কেন হত্যা করা হলো প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যার।
ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দু’হাজার জন অস্বচ্ছল ও দুস্থ নারীকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দুই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়াও দুস্থ নারী ও মেয়েদের মধ্যে বিতরণ করা হবে চার হাজার সেলাই মেশিন।