নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনে পৌঁছান তিনি। শেষ খবরে জানা গেছে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটের দিকে আলোচনা শুরু করে বিএনপির প্রতিনিধি দল।
খালেদা জিয়ার আগেই বঙ্গভবনে পৌঁছান বিএনপির প্রতিনিধি দলের ৮ জন সদস্য। বাকিরা আসেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিনিধি দলটিতে আছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব:) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে এর আগে যে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। মূলত তা নিয়েই আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি। ওই প্রস্তাবে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় বিএনপি।
সেই সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাব করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারেরও নাম প্রস্তাব করতে পারেন।
আগামী ফেব্রয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। হিসাব অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়ে গত ২১ নভেম্বর একটি প্রস্তাব দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এরই মধ্যে গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পৌঁছে দেয় বিএনপি।
তবে বিএনপির দেয়া ওই প্রস্তাব সরকার প্রত্যাখ্যান করলেও জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। এবং আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে।
খালেদা জিয়ার কয়েকদিন পর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে গত ২৬ নভেম্বর কয়েকটি প্রস্তাব দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও। ৫ দফা দাবি জানিয়ে নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারসহ ভোটের আনুপাতিক হারে আসন বন্টনের প্রস্তাবও দেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার পর ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি বসবেন জাতীয় পার্টির সঙ্গে।
এরপর ২১ ডিসেম্বর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগকে এবং ২২ ডিসেম্বর জাসদ (ইনু)র সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাষ্ট্রপতি।