আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ফৌজদারি আইনের মামলায় অভিযুক্ত কোনো আসামি মারা গেলে তার
বিচারের কোনো বিধান নেই। ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়াউর রহমানের
মরণোত্তর বিচার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি তিনি দোষী হন, তা ইতিহাসের পাতায়
লেখা থাকবে।’
তিনি জানান, ইতিহাসের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত
করতে হবে, এজন্য কমিশন গঠন করার কথা ভাবছে সরকার।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
কর্মসূচির সহযোগিতায় ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারী আইন কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন।
পরে বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিয়াউর রহমানের বিচার এবং কমিশন গঠনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারী মৃত ব্যক্তিদের তো আর বিচার করা সম্ভব নয়,
কিন্তু জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে জনগণ তাদের ঘৃণা করবে। আর ২১ আগষ্ট
গ্রেনেড হামলা মামলার রায় কিছুদিনের মধ্যে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন
আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সর্বশেষ অবস্থা ও রায় ঘোষণা নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২১ আগস্ট হত্যা মামলায় পলাতক আসামীদের ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার।