মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র্যালি করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার বিকাল ৩টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাব চত্বর থেকে র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে উপাচার্যের সঙ্গে প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে উপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ আজ ধন্য। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ৫৭ নম্বর অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জানান দিচ্ছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মাত্রই আমরা অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশের দিকে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এতটা সাহস, এতটা উদ্যোগ না নিলে আমরা সমুদ্রের তলা থেকে আকাশের সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারতাম না।
“এই স্যাটেলাইট যোগাযোগ রক্ষায় আমাদের দেশের কাজে লাগবে, আমরা বিশ্বের কাজে লাগবো। আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ কোন উন্নত জাতি নই, আমাদের যে সামর্থ্য আছে তা দিয়েই আমরা অন্য রাষ্ট্রের সেবা করে যাবো। বিশ্ব ও মানবতার কল্যাণে উপগ্রহ কাজে লাগাতে পারবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ”
উপাচার্য আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকা অবস্থায় বেতবুনিয়ায় একটি ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন। আজ সেই চেষ্টার সফল রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেভাবেই হোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় ও দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সফল হয়েছি। আজ ভোর রাতে আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।