চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম: ‘দুঃখ’ ঘুচছে সবুজ ঘাসে

চারদিকে সবুজের ছোঁয়া। নরম ঘাসে ছেঁয়ে আছে গোটা মাঠ। আগে যেখানে আউটফিল্ডের অবস্থা ছিল নাজেহাল; এক পলক তাকালেই দুঃখী-ভারাক্রান্ত এক মাঠের ছবি ভেসে উঠত সেখানে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে দেখা গেছে একটি ‘আদর্শ’ মাঠ। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠের দিকে বাফুফে কর্মকর্তারা বেশ নজর দেন।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ এই বছর তিন ভেন্যুতে হয়েছে। ঢাকার মাঠ প্রশংসা পেলেও কক্সবাজারের অবস্থা ছিল যাচ্ছেতাই। সিলেটের অবস্থা কক্সবাজারের মতো না হলেও আদর্শ বলতে যা বোঝায় তা ছিল না।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

কক্সবাজারের মাঠ নিয়ে ফুটবল ফেডারেশন দারুণ বিপাকে পড়ে। বিদেশিদের কাছে মান বাঁচানো দায় হয়ে পড়ে। মাঠের বেহাল দশার কারণে অনেকেই আঙুল তুলছেন বাফুফের গ্রাউন্ডস কমিটির দিকে। কিন্তু গ্রাউন্ডস কমিটি বলছে, কক্সবাজারের কর্মকর্তারা তাদের পরামর্শ এতটুকু আমলে নেননি!

গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বাবুল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘মাঠ ঠিক করতে আমি কক্সবাজারের কর্মীদের কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেভাবে কাজ করেনি। অমন মাঠ দেখে আমি নিজেও ক্ষুব্ধ।’

‘নিজে থেকে ফোন করে করে পরামর্শ দিয়েছি। তারা কিছু জানতেও চায় না। কিছু বললে সেভাবে কাজও করে না। আমি কী করতে পারি।’

নির্দেশ অমান্য করায় তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘আমার হাতে কিছু নেই। আমি রিপোর্ট দিয়েছি। ব্যবস্থা নিতে হলে বাফুফেকে নিতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়েও বিভিন্ন সময় বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এবার বাবুলের নেতৃত্বে আউটফিল্ডের চেহারা একদম পাল্টে যায়। বিদেশি খেলোয়াড়, কর্মকর্তারা মাঠের প্রশংসা করে গেছেন। বাবুল জানালেন, মাঠ ঠিক করতে ফাইনালের আগে কর্মীদের নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি, ‘আমাদের এই মাঠের ওপর দিয়ে অনেক ধকল যায়। সব পর্যায়ের ম্যাচ এখানে হয়। আগে ঘাস কাটা মেশিন ছিল না। সেটি আনা হয়েছে। রোলার ঠিক করেছি। বিদেশিরা খুব প্রশংসা করেছে। সবার সহযোগিতা ছিল বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।’

ছবি: বাফুফে