বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল আবারও মন্ত্রিসভায় ফিরছেন– সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনই একটি স্ট্যাটাস পোস্ট হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার নামে থাকা একটি পেজে।
এই ফেসবুক পেজটির সূত্র ধরেই সোহেল তাজের মন্ত্রিসভায় ফিরে আসার খবরটি বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ফলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, গণমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনা ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের নামে অনেকগুলো ‘ফেইক ফেসবুক পেইজ’ চালু রয়েছে। যা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নানা রকম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। বিভ্রান্ত থেকে সচেতন করতে আওয়ামী লীগের পেইজ তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ প্রসঙ্গে এক বিবৃতি দিয়ে আওয়ামী লীগের পেইজ-এ লেখা হয়:
‘গত কিছু দিন ধরেই আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে –
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের নামে কিছু ‘ফেইক ফেসবুক পেইজ’ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং সেই পেইজগুলো থেকে নানা রকম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর একটি ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ Sajeeb Wazed ও শেখ রেহানা’র পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান CRI এর ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এর একটি ফেসবুক আইডি Radwan Mujib Siddiq অফিশিয়ালি চালু আছে – যা তারা নিজেরাই তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
জনসাধারণ ও সাংবাদিক ভাইদের অবগতির জন্য আমরা আবারো জানাচ্ছি যে, বঙ্গবন্ধুর কন্যাদ্বয় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনা’র কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের নামে এখনও অফিশিয়ালি কোন ফেসবুক পেইজ চালু হয় নি, একই সাথে এরকম পেইজগুলোর অ্যাডমিনদেরকে আমরা অনুরোধ করবো পেইজগুলোকে ‘আনঅফিশিয়াল’ (Unofficial) হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন – অন্যথায় আমরা অতিসত্বর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’