চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতিকে বিশ্ব কীভাবে গ্রহণ করেছিল?

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা-৫

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূন্য অর্থনীতির দেশকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু।

সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়- বঙ্গবন্ধুর এ পররাষ্ট্রনীতিকে স্বাগত জানায় শান্তিকামী বিশ্ব। ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বগুণে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেই সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ১২১টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

কম সময়ের মধ্যে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের স্বীকৃতি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ অর্জন ছিলো বঙ্গবন্ধু সরকারের অন্যতম সাফল্য। ১৯৭২ সালের ২৫শে মার্চ ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। দুই বছরের মধ্যে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেই কমনওয়েলথ, ওআইসি, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ।

বাস্তব অবস্থার বিবেচনায় স্বীকৃতি অর্জনের পাশাপাশি যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দেন বঙ্গবন্ধু।

শুরুতে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে চীন ভেটো দিলেও পরে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের কাছে কার্যত নতি স্বীকার করে পরাশক্তি।

১৯৭৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর ১৩৬তম সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। ২৫শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন বাংলাদেশের জাতির পিতা।

অর্থনীতি শক্তিশালী করতে এশিয়া-ইউরোপ-আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সফর করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান। বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকেও সাড়া ছিলো ইতিবাচক।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: