মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ছাত্রসমাজ ‘না’ বলে দেয়ার পর সংগঠিত হতে থাকে রাজনৈতিক শক্তি। প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ যার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম।
পাকিস্তান জন্ম নেয়ার পর মুসলিম লীগ সরকার যখন পূর্ব বাংলার মানুষদের সঙ্গে কোটারি, কুশাসন, অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে তখন শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য নেতারা মিলে সিদ্ধান্ত নেন নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকা রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ, যা পরে হয় আওয়ামী লীগ। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত নতুন দলে কারাবন্দী তরুণ নেতা শেখ মুজিবকে করা হয় যুগ্ম সম্পাদক।
জেল থেকে বের হয়েই সারা বাংলায় সংগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ মুজিবুর রহমান। কিছুদিনের মধ্যে পূর্ব বাংলার রাজনীতিতে নিয়ামক শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী লীগকে। এরপর বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ রেখেছে অগ্রণী ভূমিকা।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ লাখো মানুষের আত্মত্যাগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই চলে মুক্তিযুদ্ধ।
২৩ বছরের আত্মত্যাগ আর একাত্তরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলার মানুষ পায় স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ।
অারও দেখুন লায়লা নওশিনের ভিডিও রিপোর্টে: