শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নতুনভাবে ২০৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা দিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
আগামী একশো বছরের পরিকল্পনা সামনে রেখে প্রস্তাবিত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নাম হবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পাস।
বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন ১০৬ একর। আটটি স্কুল, দুটি ইন্সটিটিউট ও ২৯ টি ডিসিপ্লিনের কার্যক্রম চলছে এখানে। চলছে অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কয়েকটি প্রকল্পের কাজ। আইইআর ভবন, টিএসসি, দশতলা একাডেমিক ভবন, মেডিকেল সেন্টার, জিমনেসিয়ামের কাজ চলমান থাকলেও ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্পের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থান সংকটে পড়বে।
এই সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা নিয়ে গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে।
বর্তমান ক্যাম্পাস সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম-পূর্ব দিকে পতিত জমিতে নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই জায়গায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কিছু আবাসিক প্রকল্পের পরিকল্পনা বাতিল চেয়ে টিঠি মারফত অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সামুদ্রিক সম্পদ বিকাশ, আহরণ, সংরক্ষণের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির বিকাশ, জলবায়ু ও উপকলীয় পরিবশ ও প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সুন্দরবন নিয় অধিকতর গবষণা, মহাকাশ বিজ্ঞানসহ নতুন নতুন কারিগরি ও প্রযুক্তিগত বিষয়, সামাজিক ও মানবিক বিদ্যার নতুন নতুন শাখায় উচ শিক্ষা ও গবষণার ওপর আগামী দিনে জোর দিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে এসব বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজের বিকল্প নেই বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘যুগের চাহিদা অনুযায়ী জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারে নিরন্তর গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। একই সাথ দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঠ পর্যায়ের গবেষণায় স্থান সংকট অন্তরায় হিসেবে দেখা দিয়েছে।’