জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সমাপনী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের এক সমন্বয় সভায় এ কথা জানানো হয়। জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় জুম অনলাইন প্লাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী স্বাগত বক্তব্যে সভায় অবহিত করেন যে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জনসমাগম পরিহার করে জন্মশতবার্ষিকীর বাস্তবায়নযোগ্য কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সমাপনী এবং আগামী ২৬ মার্চ ২০২১ তারিখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণের কথা জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর সমাপনী অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান সমন্বিত কর্মসূচির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। অচিরেই এসব কর্মসূচি চুড়ান্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, এমপি, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফিন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাাকী, কবি তারিক সুজাত এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।