দীর্ঘদিনেও দেশে আনা সম্ভব হয়নি বঙ্গবন্ধুর পলাতক ৬ খুনিকে। তাদের কবে আনা সম্ভব হবে সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় সরকার। পচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অনেককেই বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অনেকেই বাংলাদেশের কূটনীতিকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরে সুযোগ নিয়ে বিদেশেই থেকে যান তারা।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় থাকলেও দেশে আনা যায়নি তাকে। এ সম্পর্কে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কানাডীয় একটা নীতি আছে, তাদের আইনেই বলা আছে যে, দেশে মৃত্যুদণ্ড আছে সেই দেশে কোনো আসামীকে তারা ফেরত দেয় না। যদি সে এমন অপরাধ করে থাকে যেটা মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে একটু আইনী জটিলতা আছে, এই আইনী জটিলতা দূর করার চেষ্টা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীকেও দেশে আইনে একই ধরণের জটিলতা। এ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে, আমরা এ এম রাশেদ চৌধুরীর ব্যাপারে মার্কিন জাস্টটিজ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি, এ পর্যন্তই অগ্রগতি।
অবশিষ্ট চারজন কোন দেশে আছে তা নিশ্চিত নয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সূত্রে যে তথ্য পেয়েছে তাতে ধারণা করা হয় মোসলেমউদ্দিন জার্মানিতে, শরীফুল হক ডালিম পাকিস্তান, আব্দুল মাজেদ সেনেগাল এবং খন্দকার আবদুর রশীদ পাকিস্তান বা লিবিয়ায়। পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর ওই খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায়েও অগ্রগতি হচ্ছে না।