চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফেরাতে রাজপথে ছোট-বড় পর্দার শিল্পীরা

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিদিন নানা দাবিতে-কারণে মানববন্ধন হয়। তবে মানববন্ধনের স্বাভাবিক চিত্রের চেয়ে এ দিনের দৃশ্য ছিল ভিন্ন। কারণ এক সারিতে দাঁড়ানো মুখগুলো সবার চেনা।

কালো-সাদা পোশাকে আসা সংগীত, মঞ্চ, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের তারকাদের এই ‘শিল্পীবন্ধন’ থেকে দাবি জানানো হয়: অবিলম্বে বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।


বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ‘ভুলি নাই, ভুলবো না’ লেখা কালো ব্যানারের পেছনে দাঁড়িয়ে মঞ্চ ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী, ড. ইনামুল হক, আজিজুল হক, চলচ্চিত্র শিল্পী রোজিনা, বাপ্পারাজ, টেলিভিশন শিল্পী শহিদুল আলম সাচ্চু, শমী কায়সার, আফসানা মিমিসহ শিল্পাঙ্গনের নবীন-প্রবীণরা এই দাবি জানান।

শনিবার সকালে শিল্পীদের এই সারিতে দাঁড়ান জোটের সভাপতি এবং সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে আমরা ভুলি নাই, ভুলবো না। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ’৭১ এর পরাজিত এবং ’৭৫ এর কালো অধ্যায়ের জন্ম দেয়া অপশক্তি বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে তাদের শক্তহাতে দমন করা হবে।’

ছোট-বড় পর্দার শিল্পীদের পাশেই বড় ক্যানভাসে তুলির আঁচরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলেন চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী এবং সহশিল্পীরা।

সংস্কৃতি অঙ্গনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি শিল্পীদের দাবির প্রতিধ্বনি করে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশে এনে শাস্তির দাবি জানান।

প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আসার আগে শিল্পীরা বঙ্গবন্ধুর দর্শন-দেশ ভাবনা নিয়ে করা উক্তিগুলো তুলে ধরেন। কবি নির্মলেন্দু গুণ, লেখক আনিসুল হকের লেখা কবিতা পাঠ করেন অভিনেতা আরমান পারভেজ মুরাদ এবং চলচ্চিত্র শিল্পী অরুণা বিশ্বাস।

সব শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাসিম। বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডসহ আগস্টের কালো অধ্যায়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘১৭ আগস্টে বিএনপি-জামাত সরকারের সময়ে দেশজুড়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছিলো। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চালানো হয়েছিল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা, আইভি রহমানসহ আমাদের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছিল।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি এবং বর্তমান পরিস্থিতিকে ১৯৭৫ এর দিকে নেয়া হচ্ছে জানিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হাতের মুঠোয় পেয়ে পাকিস্তানিরা হত্যার সাহস পায় নাই অথচ বাঙালি বাহিনীর বিশ্বাসঘাতকেরা হত্যা করেছিল। টানা ২১ বছর কোনো আদালত এই হত্যার বিচার করার সাহস পায় নাই। ন্যায় বিচারের কথা বলে যারা আজ মায়া কান্না করছেন তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন। আজ বাংলাদেশে অশুভ শক্তিরা আবার অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য মাথা নাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’