বগুড়ায় মা ও মেয়ে নির্যাতন মামলায় তুফানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দুই মামলার চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ।
গত ১৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে ক্যাডার দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার। এর পরে কয়েকবার ধর্ষণে তুফানকে সহায়তা করে তার কয়েকজন সহযোগী। বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ একদল সন্ত্রাসী শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়।
ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৮ জুলাই রাতে তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আকতারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত নয়জনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওই দুই মামলায় আসামী শিমুল ছাড়া সবাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া তরুণী ও তার মায়ের চুল কাটায় সহযোগীতার জন্য নরসুন্দর জীবন রবিদাস ও সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে তুফানের শ্বশুর রুনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।