রউফ জালাল, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে ১ মার্চ থেকে বগুড়া চেম্বার এন্ড কমার্সের উদ্যোগে শুরু হয় আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা। শুরুর দিন থেকেই এর মূল বিষয় হয়ে ওঠে র্যাফেল ড্র’র নামে অবৈধ ডেইলি লটারির রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লটারির টিকিট বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে ভ্যান, অটোরিক্সা ও পিকআপ ভ্যানে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া শহর ও শহরতলির একাধিক পয়েন্টে চেয়ার টেবিল বসিয়ে অবৈধ এই লটারী টিকিট বিক্রির পাশাপাশি কেবল টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এর বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় লোকজনকে লোভনীয় পুরস্কারের কথা বলে টিকিট কিনতে প্রলুদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নিম্ম আয়ের লোকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়া শহরে ইয়াকুবিয়া বালিকা বিদ্যালয় , জিরো পয়েন্ট সাতমাথা, বগুড়া জিলা স্কুলের সামনেসহ শহরের পাড়া মহল্লার মোড়ে মোড়ে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। শহরের গন্ডি ছাপিয়ে বিভিন্ন উপজেলা এবং বগুড়া জেলার সাথে সংলগ্ন নওগাঁ, গাইবান্ধা , সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার সীমান্ত এলাকায় এই সব লটারির টিকিট বিক্রি হচ্ছে। দামি দামি পুরস্কার দেয়া হবে মাইকে এমন ঘোষনা শুনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে লোকজন।
এ ব্যাপারে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ফজলুল হক জুয়েল বলেছেন, তারা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় লটারি পরিচালনা করছেন। তবে বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক মাহফুজুল ইসলাম রাজ জানিয়েছেন, তাদের লটারির অনুমোদন নেই। তারা মেলাটি আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যবসায়ীকে ইজারা দিয়েছেন।
আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মেলা করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয় কিন্তু ভালো প্রতিষ্ঠান তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে না, তাই বাধ্য হয়ে মেলা পরিচালনা ব্যয়ের জন্য লটারি চালানো হচ্ছে।
লটারি ও কেবল টিভি নেটওয়ার্কে সম্প্রচার বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় মেলার অনুমোদন দিয়েছে তবে লটারির কোনো অনুমতি প্রশাসন থেকে দেয়া হয়নি। এছাড়া কেবল টিভি নেটওয়ার্কে তা সম্প্রচার বে আইনি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।