মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গণমাধ্যম হিসেবে রেডিওর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। এই অবদানকে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এবার বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধে রেডিও’ নামক গ্রন্থ।
গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিয়ষক সংগঠন মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আবু সাঈদ। এটি সংগঠনটির উদ্যোগে দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ত্রৈমাসিক স্বপ্ন’৭১–এর দশম সংখ্যা।
মুক্তিযুদ্ধে রেডিও নিয়ে আগামী ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি, দুপুর তিনটায় লন্ডনের ‘লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে’ অনুষ্ঠিত হবে প্রকাশনা উৎসব ও সংবাদ সন্মেলন ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন নবী চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধে রেড়িও নিয়ে আলোচনা করবেন লেখক ও গবেষক প্রিয়জিৎ দেবসরকার ও ব্যারিস্টার ইসলাম খান।
এই বিষয়ে সম্পাদক আবু সাঈদ তার সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বেতার ছিল অন্যতম অস্ত্র। তরুণ সমাজের অনেকেই জানে না বাংলাদেশের জন্মের পেছনে বেতারগুলো কী অসাধারণ দায়িত্ব পালন করেছে। সেই সময়ে হতাশগ্রস্ত জাতিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, আকাশবাণী, বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও অস্ট্রেলিয়া, রেডিও জাপানসহ বিভিন্ন বেতার কেন্দ্র তাদের নিয়মিত খবর, গান, কথিকা, সংবাদ পর্যালোচনা প্রভৃতি প্রচারের মাধ্যমে কীভাবে উজ্জীবিত করেছিল, আবার রেডিও পাকিস্তান এ দেশের মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে কীভাবে অপপ্রচার করেছিল, এসব বিষয় রেডিও সংখ্যায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
৪৬৪ পৃষ্ঠার রেডিও সংখ্যাটিতে দেশ-বিদেশের গবেষক, লেখক ও ইতিহাসবিদের প্রবন্ধ; বাংলাদেশ ও ভারতের শব্দসৈনিকদের লেখা ও সাক্ষাৎকার, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতাদের জবানবন্দি, অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা, গান, কবিতা, গল্প, বিশিষ্ট লেখকদের স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধে রেডিও, শ্রোতা, প্রতিবেদন, দলিলপত্র থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এম আর আখতার মুকুলের চরমপত্র, সীমানা পেরিয়ে বিভাগে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আত্মজীবনীমূলক বই ‘গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন’ থেকে বিদেশের মাটিতে কীভাবে রেডিও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিল, তা পুনর্মুদ্রণ, কিছু লেখা ভিডিও থেকে শ্রুতিলিখন, বইয়ের আলোচনাসহ নানা বিষয় রয়েছে বইটিতে।