একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যস্ততার মধ্যেও কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই নতুন বছরের প্রথম দিনেই সারা দেশে বিনামূল্যে বই বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বই উৎসব। বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা উৎসবে মেতে উঠেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এ বছর চার কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি বই। আর ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৯৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৭২টি বই বিতরণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছরই সরকার বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণের উৎসব করে আসছে। আগামী বছরগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আমরা আশা করি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন: নতুন প্রজন্মকে আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। আধুনিক ও উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত একটি জাতি গঠনে সরকার এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।
এর আগে বই ও শিক্ষা সরঞ্জামের অভাবে সবাই স্কুলেই যেত না, প্রতিবছরই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ত। এখন সেই ঝরে পড়ার হার নেই বললেই চলে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের আমরা অভিনন্দন জানাই।
তবে এটাও ঠিক যে, বই ছাপানো নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে এবং অসম্ভব বলে চারদিকে সমালোচনা হয়েছে। এ বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটাকে অসম্ভব মনে করলেও এ দেশে তা সম্ভব হয়েছে। বছরের প্রথম দিনেই বই তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এখন আর বই সংগ্রহ করতে বছরের অর্ধেক সময়ে চলে যায় না।
আমরা মনে করি, এই উৎসব আলোর উৎসব। এই আলোর উৎসব যেন অব্যাহত থাকে। শিশুদের অন্তহীন আনন্দের মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জনের এই উৎসব আগামী দিনেও থাকুক।
একইসঙ্গে বিগত দিনের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে নতুন সরকার এ খাতকে আরও অগ্রাধিকার ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে বলে আমরা আশা করি।