বইমেলায় আসছে সাব্বির খানের দুটি বই। একটির নাম ‘ইউরোপের চিঠি’ আরেকটি ‘মানচিত্র যখন দাবার ঘর’।
ইউরোপের চিঠি বইটির ফ্ল্যাপে লেখা হয়েছে, চিঠি লেখার প্রচলন পৃথিবীতে কখন, কবে শুরু হয়েছিল তার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও, প্রথম অক্ষরজ্ঞান লাভের সাথে চিঠি লেখার একটা যোগসূত্র যে ছিল, তা বলাই বাহুল্য! আদিকালে বই পড়ার পাশাপাশি চিঠিও ছিল জ্ঞানলাভ- ও পাঠচর্চার উচ্চতর দুই মাধ্যম। বই মানুষের কাছে যায় না। যুগান্তরে মানুষই বইয়ের কাছে ধর্ণা দিয়েছে বার বার। কালের স্বীকৃত যে সভ্যতা, তার প্রতিটি রূপান্তরেই অবদান রেখেছে বই। চিঠি কেউ পাঠায়; কেউ পায়! চিঠি সব সময়ই বইয়ের মতো সমান গুরুত্ব পেয়েছে সমাজ, সংসার ও সভ্যতার পরাকাষ্ঠে! সুদূর ইউরোপ থেকে চিঠি লিখেছি বাংলাদেশের কাছে। সংবাদপত্রে ছাপার অক্ষরে মতবিনিময় করেছি বাঙালী সুহৃদদের সাথে। চিঠিতে ছিল একাধারে জ্ঞানচর্চার গোপন অভিলাষ, আর সরেজমিনে লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো! চিঠিগুলোকে যুগান্তরের খেয়ায় ভাসাতে বইয়ের পাতায় বন্দী করার কপট প্রয়াস- ‘ইউরোপের চিঠি’!
মানচিত্র যখন দাবার ঘর বইটির ফ্ল্যাপে লেখা হয়েছে, অধুনা বিশ্বের মানচিত্রগুলো রক্তাক্ত শোষণ-নিপীড়নের ঐতিহাসিক পটভূমি। বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশও একটি দাবার ঘর, যাকে ঘিরে কূটচাল হয় প্রতিনিয়ত; ভেতরে এবং বাহিরে। জানতে চাই কূটচালের গোপনীয়তাগুলো। আগাম বুঝতে চাই দাবার ঘুটিগুলোকে- ‘কি হবে-কি হতে পারে’! বোঝার চেষ্টা করি বায়ান্ন, একাত্তর, পচাত্তর ও নব্বইয়ের মতো সময়গুলোকে। দ্বারস্থ হই সাত মনীষীর। অথচ ‘মানচিত্র যখন দাবার ঘর’ তখন কূটচালগুলো কেউ বলে না। কিছুটা বুঝে নিতে হয়; কিছুটা আন্দাজ করে নিতে হয়; আর বাকিটুকু অবুঝের মতো শুধু মেনে নিতে হয়!
দু’টো বইই গ্রন্থমেলায় ‘বর্ষাদুপুর প্রকাশনীর’ ২৯৬-২৯৭ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে।