ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া অমর একুশ গ্রন্থমেলার আছে আর পাঁচদিন। সব বই প্রায় চলে এসেছে। মেলায় ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম দুই সপ্তাহে বেশি ছিল দর্শনার্থী ও সেলফিপ্রেমির সংখ্যা। বিক্রি বাড়ায় হাসি ফুটেছে প্রকাশকদের মুখে।
দেশ পাবলিকেশন্স এর প্রকাশক অচিন্ত্য চয়ন জানালেন, ‘এর আগে পহেলা ফালগুন, চোদ্দই ফেব্রুয়ারি এবং দুই শুক্রবারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই বিক্রি হয়েছে। বাকি দিনগুলোতে ভিড় কম থাকে। কিংবা ভিড় বেশি হলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে বইয়ের তালিকা নিয়ে বই প্রেমিরা আসতে শুরু করেছে। প্রায় সবাই বই কিনছে।’
মেলা ঘুরে এ কথার সত্যতা মিলল। আল মামুন এসেছেন রাজশাহী থেকে। তার দুহাত ভর্তি বইয়ের ব্যাগ। তারপরেও ব্যস্ত হয়ে স্টলে স্টলে বই খুঁজছেন। যেন গুরুত্বপূর্ণ বইটাই কেনা হয়নি। রবিউল ইসলাম এসেছে ময়মনসিংহ থেকে। তার দুই হাতে ছয়টি ব্যাগ। ব্যাগগুলো ভরা বই।
রবিউল জানালেন, প্রতিবার মেলা উপলক্ষে ঢাকায় আসেন পছন্দের বইয়ের তালিকা নিয়ে। তার পরিচিত সব লেখকের বই কেনা চাই-ই চাই। একদিক থেকে কেনা শুরু করেছেন।’
চাকরিজীবী রবিউল আরো জানালেন, বেতন না হওয়ায় পাঁচ হাজার টাকা ধার করে মেলায় এসেছেন। সামনের মাসে বেতন পেয়ে সবার টাকা দিয়ে দিবেন। আর সারা বছর বইগুলো পড়বেন।
লেখক ইফতেখার মাহমুদ জানালেন, ‘মেলা শেষের দিকে চলে এসেছে। এতদিন যারা পছন্দের বই না আসায় কিংবা কাজের চাপে মেলায় ঢুঁ মারেননি তারা আসতে শুরু করেছেন। মেলা আছে আর পাঁচদিন। ফলে প্রকৃত ক্রেতারা এখন মেলামুখী হবেন।’ মেলার শেষ শুক্র ও শনিবার (২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি) আরো বেশি ভীর থাকবে। আরো বেশি বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।
গত তিন শুক্রবারে শিশু প্রহরের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে দল বেঁধে আসে বই কিনতে। এবং বিকেল হতেই সব বয়সের পাঠকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন।
ফলে শুক্রবার সকাল হতেই মেলা জমে ওঠার আশাবাদ ব্যাক্ত করলেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা।