স্নাতকের শিক্ষার্থী হলেও জনি হোসেন কাব্যকে দেখলে মনে হয় ক্লাস এইটের ছাত্র। লিকলিকে, লম্বা, মাথাভর্তি পাখির বাসার মতো কোঁকড়া চুল। আদর করে শুভাকাঙ্খি ডাকেন পিচ্চি বলে। সেই ‘পিচ্চি ছড়াকার’ লিখেছে ছড়ামর্শ নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি ছড়ার বই। যে বইয়ে ছড়া লেখার নানা দিক নিয়ে উম্মুক্ত আলোচনার পাশাপাশি উঠে এসেছে স্বনামধন্য ছড়াকারদের ছড়া নিয়ে আলোচনা।
ছড়াকার জুলফিকার শাহাদাৎ বলেন: ছড়াকার, প্রাবন্ধিক ও এ সময়ের তুখোড় শিশুসাহিত্যিক জনি হোসেন কাব্যের সাথে আমার কখনো দেখা হয়নি। আমি কিন্তু নিয়মিতই ছড়ার মাধ্যমে তাকে দেখি। আমি তার একজন মুগ্ধ পাঠক। আমি আগেই একদিন বলেছিলাম সে আমাদের আগামী দিনের ছড়াসাহিত্যের একজন বটবৃক্ষে পরিণত হবে। তার বড় গুণ ভাল ছড়া কবিতা চিহ্নিত করার ক্ষমতা ও তা অনুধাবনের যোগ্যতা। এ দুটি গুণের কারণে সে ভাল ছড়া লেখে, ভাল কবিতা লেখে। ভাল প্রবন্ধ লেখে। এ বয়সে তার যে সৃজনশীল লেখনি আমি মুগ্ধ, অভিভূত। আমার সমস্ত শুভ কামনা জনির জন্য।
ছাড়ামর্শ ছাড়াও আরও দুইটি ভিন্নধারার বই লিখছেন কাব্য। ইসলামিধারার ছড়াগ্রন্থ ‘আহবান’ ও শিশুকিশোর উপযোগী গল্পগ্রন্থ ‘টেংরার গ্যাং’, মোট তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম ছড়াগ্রন্থ ‘ছড়ার প্যাকেট’। যা ষোলপৃষ্ঠা প্রকাশনীর ব্যানারে প্রকাশ হয় এবং ষোলপৃষ্ঠা প্রকাশনীর স্টলে সবচেয়ে বেশি বিক্রি বইয়ের তালিকায় স্থান পায়। ২০১৬’তেও ‘ছড়ার মিনার’ এবং ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ নামক দুটি ছড়ার বই বের হয়। বই দুটি দাঁড়িকমা প্রকাশনীর বেস্ট সেলের তালিকায় স্থান করে নেয়।
জনি হোসেন কাব্যর জন্ম ১৯৯৬ সালের ৫ মার্চ, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায়। বর্তমানে সে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে তৃতীয়বর্ষে অধ্যয়নরত। ৫ম শ্রেণীতেই লেখালেখির হাতেখড়ি। পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, কালেরকণ্ঠ, নয়াদিগন্ত, বাংলাদেশ সময়, পূর্বদেশ, সোনারদেশ, ভোরের কাগজসহ স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, পাক্ষিক, ষাণ্মাসিক এবং বার্ষিক পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখা ছাপা হয়। মূলত ছড়া লিখলেও পাশাপাশি ছোটগল্প, কবিতা, আঁকাআঁকির চর্চাও অব্যাহত রেখেছেন।
বইমেলায় তার ‘ছড়ামর্শ’, ‘আহবান’ এবং ‘টেংরার গ্যাং’ বই তিনটি পাওয়া যাবে দাঁড়িকমা প্রকাশনীর ৬৬৬ নং স্টলে।