বাংলা একাডেমির সামনের গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতেই চোখে পড়ে সাজ সাজ রব। কাঠমিস্ত্রির ঠুক ঠাক হাতুড়ি পেটানোর আওয়াজ। যেন সদ্য জেগে ওঠা চরে বসতি গড়তে ব্যস্ত তারা। বাতাসে নতুন কাঠ আর রঙের গন্ধ। পছন্দ মতো সাজে স্টল সাজিয়ে নিচ্ছেন প্রকাশকরা।
চলছে মাসব্যাপী বইমেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতি। পহেলা ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিবারের মতো এবারও অন্যপ্রকাশ তাদের প্যাভিলিয়নে আনছে ভিন্নতা। প্যাভিলিয়ন সজ্জার দায়িত্বে থাকা এক কর্মী জানালেন, অন্যপ্রকাশ এবার কার্জন হলের অবয়বে তাদের প্যাভিলিয়ন সাজাচ্ছে। কার্জন হলের অবয়বে হলেও থাকবেন হুমায়ূন আহমেদ।
দেশ পাবলিকেশন্সের প্রকাশক অচিন্ত্য চয়ন মেলার আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানালেন। পহেলা ফেব্রুয়ারির আগেই সব আয়োজন সম্পন্ন করে মেলার শুরু থেকেই নতুন বই পাঠকদের হাতে তুলে নেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেও চলছে সাজ সাজ রব। এখানে লিটলম্যাগ ও বিভিন্ন মিডিয়ার স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমির সসামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩৬টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮৩টি ইউনিট; মোট ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমি-সহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন তাঁদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে। গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে।