টানা চার হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল সিলেট থান্ডার। মোসাদ্দেক হোসেনের দল ৮০ রানের জয়ে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে টানা তিন ম্যাচের হাসিতে উড়তে থাকা মুশফিকুর রহমানের খুলনা টাইগার্সকে।
শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে আন্দ্রে ফ্লেচারের অপরাজিত ১০৩ ও জোনাথন চার্লসের ৯০ রানে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ২৩২ তোলে সিলেট। জবাবে ৯ বল হাতে রেখেই ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফ্লেচার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিটি এনেছেন ঝড় তুলে। সিলেটের ওপেনার ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৭ বলে ১০৩ করেছেন।
আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ (২) ফিরলে স্বদেশী চার্লসকে নিয়ে ১৬১ রানের জুটি গড়েন ফ্লেচার, সেটি কেবল ৭০ বলে।
চার্লসের ভাগ্য অবশ্য তিনঅঙ্ক পর্যন্ত পৌঁছায়নি। ফিরেছেন ১০ রানের আক্ষেপ নিয়ে। তার ৯০ রানের ইনিংসটি আরও বেশি তাণ্ডব চালানো, কেবল ৩৮ বলে খেলা। ফ্লেচারের মতো তারও ১১টি চার ও ৫টি ছয়ে সাজানো ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে ফর্মে থাকা রাইলি রুশো হিটম্যান হলেও তার ফেরার সাথে পথ হারায় খুলনাও। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৩২ বলে ৫২ করে ফেরেন রুশো।
৬ চার ও ২ ছক্কায় ২০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে ররি ফ্রেইলিংক কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তবে সাইফ ২০, মুশফিক ১২, শামসুর ৭, গুরবাজরা (০) ব্যর্থ হয়ে ফিরলে কোনোমতে দেড়শ পর্যন্ত যায় খুলনা।
তিন উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা স্যান্টোকি, ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মনির হোসেন ও এবাদত হোসেন।
জহুর আহমেদে তিনদিন আগে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ২২১ তুলেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, জবাবে ঢাকা তোলে ২০৫। গতকাল সেই চট্টগ্রাম আবারও দুইশ পার করে, তোলে বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২৩৮ রান (সর্বোচ্চ ২৩৯, রংপুর রাইডার্স, গত আসরে)। জবাবে ২২২ পর্যন্ত যায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। সেই ধারা বহাল থাকল শনিবারও। খুলনার বিপক্ষে ২৩২ তোলা সিলেট থান্ডারের রানকে তাড়া করে অবশ্য এদিন দুইশ ছোঁয়া হল না খুলনার।