তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় খাত। ২০২১ সালের মধ্যে এখাতে ২০ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ কাজে সাফল্য আনতে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন ও ধৈর্য ধরে কাজ করাটাই বেশি জরুরি।
উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশের কর্মীদের দিয়ে ওডেক্সের মত বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজ করিয়ে থাকেন। ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা অনুযায়ী মার্কেট বিড করে কাজ নিতে হয়। একজন কর্মীকে তাঁর কাজের জন্য অর্থ পরিশোধ করা হয়। আর এটাই আউটসোর্সিং। দিন দিন বিশ্বব্যাপী বাড়ছে আউটসোর্সিংয়ের পরিমাণ।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস- বেসিস এর তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে প্রায় ৫শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণের কাজ আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৫ লক্ষাধিক তরুণ আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে নিবন্ধন করলেও সক্রিয় রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার। ফ্রিল্যান্সিংয়ে শিক্ষিত তরুণদের দক্ষ করতে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে সরকার।
তবে ফ্রিল্যান্সিং করে কোন অর্থ আয় করতে পারেননি যারা তাদের জন্য পরামর্শ দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ধৈর্য্য ধরে কাজ করা।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে বর্তমানে আইটি খাত থেকে আয় হচ্ছে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার, যার মধ্যে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় ১০ কোটি মার্কিন ডলার। আগামী ৫ বছরে এ আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত করার প্রত্যাশা সরকারের।