চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ফ্রিজে ঢুকে জীবন রক্ষা

ফিলিপাইনে প্রায় ২৪ ঘণ্টা  ফ্রিজে আশ্রয় নিয়ে প্রলঙ্ককারী ভূমিধস থেকে বেঁচে ফিরেছেন ১১ বছর বয়সী এক বালক।

গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ‘মেগি’র পর দেশটির লেইতে প্রদেশে উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় উদ্ধারকারীরা ভাঙা যন্ত্রের ভিতরে জেসমেকে পড়ে থাকতে দেখেন।

নিউইয়র্ক পোস্ট’র বরাতে এনডিটিভি জানায়, সিজে জেসমে নামের ওই বালক তার পরিবারের সাথে বাড়িতে ছিল। শুক্রবার ফিলিপাইনের বেবে সিটিতে ভূমিধসে তাদের বাড়ি প্লাবিত বাড়িতে হয়।

ধসের পর তাদের বাড়ি মাটি চাপা পড়লে দ্রুত জেসমে তাদের পরিবারের ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটরে ঢুকে পড়ে। তারপর ঝড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যন্ত্রটির ভিতরে লুকিয়ে থাকে।

পরে উদ্ধারকারী দল নদীর তীরে রেফ্রিজারেটরটি দেখেতে পেয়ে বালকটিকে উদ্ধার করে। পুলিশ কর্মকর্তা জোনাস ইটিস জানান, উদ্ধারকারী দল তখন জেসমেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

নিউ ইয়র্ক পোস্ট’র প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ভাঙা যন্ত্রটিকে কাদা থেকে কফিনের মতো করে তুলে আনে। তারপরে ১১ বছর বয়সী ছেলেটিকে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করে।

দলটি জানায়, যে শিশুটি তাদের সাথে প্রথম যে শব্দটি বলেছিল তা হল, ‘আমি ক্ষুধার্ত’।

অলৌকিকভাবে জেসমে তখনো সচেতন ছিল। কঠিন এ লড়ায়েরর তার একটি পা ভেঙ্গে গেছে। পরে সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে তার পায়ের অপারেশন করা হয়।

বর্তমানে ছেলেটির অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে, তারা জানায় জেসমের পরিবার ভাগ্যবান নয়। তার মা এবং ছোট ভাই এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

এর আগে তার বাবা আরেকটি ভূমিধসে মারা গিয়েছিলেন। তার ১৩ বছর বয়সী ভাই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঝড়ের পর শুধুমাত্র বেবেতেই প্রায় ২০০ গ্রামবাসী আহত হয়েছে এবং প্রায় ১৭২ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়টি ২০০ মিলিয়নেরও বেশি লোককে তাদের অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। উদ্ধারকারী দলগুলি এখনও কাদা এবং মাটির অস্থির স্তূপ এবং ধ্বংসাবশেষের সাথে নিখোঁজদের খুঁজে বের করার জন্য লড়াই করে চলেছেন।