চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ফ্যাশনে উগ্র মেলানিয়া, মার্জিত ইভানকা

ফ্যাশনকে বরাবরই ব্যক্তিত্বের প্রতীক হিসেবেই ধরা হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে  ফ্যাশন হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিফলন। মার্কিন ফাস্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও তাদের মেয়ে ইভানকার ট্রাম্পের ফ্যাশন শৈলী ও কৌশল যেন সে কথাই বলে।

বর্তমানে প্রেসিডেন্ট প্যালেস হোয়াইট হাউজের এই দুই সদস্যের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ ভিন্ন। আর সে ভিন্নতা প্রকাশ পেয়েছে মা ও মেয়ের আলাদা ফ্যাশনে। ট্রাম্প কন্যা ইভানকার ফ্যাশন ও পোশাকের ব্র্যান্ড, মধ্যবিত্ত একজন আইনজীবীর মতোই। অতো বেশি দামী না, খানিকটা সাদামাটা এবং মার্জিত। অপরদিকে মেলানিয়ার ফ্যাশনকে রাজনীতি বিশ্লেষকরা তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রকাশ বলেই মনে করেন।

এই দুইজন ট্রাম্প প্রশাসনের আলাদা দুই ধরণের নীতিতে বিশ্বাসী। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই মেয়ে ইভানকাকে তার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। আর দায়িত্ব পাওয়ার পরে ইভানকা তার নিজস্ব ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানের সিইও (চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার)পদ থেকে সরে আসেন।

 

ইভানকার ট্রাম্প

ইভানকা মূলত দেশের মধ্যবিত্তদের পক্ষে কথা বলতে চান । সম্প্রতি তিনি আমেরিকার পেনসেলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের এক সমাবেশে খুব সাধারণ একটি টপস এবং স্কার্ট পরে বক্তৃতা করেন।তার টপসটির দাম ১৯৫ ডলার আর জারা থেকে কেনা স্কার্টটির দাম ৪৯ ডলার। সমাবেশটি ছিল মূলত নতুন ট্যাক্স পরিকল্পনা নিয়ে। এবং সেখানে ইভানকার বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল এই নতুন ট্যাক্স পরিকল্পনা থেকে কিভাবে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সুবিধা পাবে।

ইভানকা বলেন, ‘প্রত্যেক বাবা-মাকেই তার পরিবারের সদস্যদের চাহিদাগুলো পূরণ করতে হয়। এদের অনেকেরই তেমন ভালো কর্মসংস্থান থাকে না। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।

একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে আগে থেকেই সুনাম আছে ইভানকার ট্রাম্পের। তার নিজের নামে একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডও আছে আমেরিকায়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও আমেরিকার সাধারণ নারীদের একজন সমর্থক হিসেবে ইভানকার পোশাক ব্র্যান্ড ‘স্টাইলিস্ট’ এর দাম হাতের নাগালের মধ্যেই থাকে।নিজের জন্যও এমন মধ্যম মানের ব্র্যান্ডগুলো থেকেই পোশাক কেনেন ইভানকা। ইভানকার এই ফ্যাশন স্টাইলকে সবাই তার রাজনৈতিক মতের প্রতিফলন হিসেবেই দেখছেন। কেবল মার্কিন মুলুক নয়, বিশ্বের অনেকের পছন্দের তালিকাতেই আছে তার ফ্যাশন।

পোশাক ও ফ্যাশন থেকে এটা স্পষ্ট যে, মেলানিয়া ট্রাম্প ও ইভানকার দু’জনই আলাদা দুটি রাজনৈতিক লক্ষেই এগুচ্ছেন। বিজনেস ইনসাইড।