একজন শিল্পী হিসেবে আমি শুধু আমার সংলাপটা বলেছি। সেটা কার মোবাইল, কি নম্বর এবং নম্বরটা আসলে সঠিক কিনা এটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না এটা, বললেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তিনি আরও বলেন, এটা আসলে বর্তায় ছবির প্রযোজক, পরিচালক, স্ক্রিপ্ট রাইটার তাদের ওপর। তারা বিষয়টা দেখবেন। আমার জায়গায় যদি অন্য কোনো হিরোর মুখ দিয়ে সংলাপটা যেত তার তো কিছু করার ছিল না।
‘রাজনীতি’ সিনেমায় অনুমতি না নিয়ে হবিগঞ্জের একজন অটোরিক্সাচালকের নাম্বার ব্যবহার করায় বিপাকে ছবির নির্মাতা বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক ও অভিনেতা শাকিব খান। তিনজনের নামেই মামলা করেন ওই অটো চালক। আর এই বিষয়েই রাজধানীর কাকরাইলের হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেন শাকিব খান।
শাকিব খানের বিরুদ্ধে অটোরিক্সা চালকের মামলা নিউজটি শোনার পর কেমন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল জানতে চাইলে শাকিব বলেন, ‘খবরটি শুনে আমি ভীষণ হেসেছি। আমিতো তখন ‘চালবাজ’ ছবির শুটিংয়ে কলকাতা ছিলাম। বিস্তারিত কিছু জানতাম না। দেশে এসে ডিটেইলস শুনলাম।’
তবে বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে চলে আসাকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শাকিব খান। তিনি বলেন, এটা তো অনেক খুশির সংবাদ যে আমাদের দেশের সংবাদ এখন আন্তজার্তিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে শাকিবের ভাবনা জানতে চাইলে বলেন, এখনও বিষয়টার ডিটেইলস আমি জানি না। লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। এটা আদৌ কোন মামলার গ্রাউন্ডে পড়ে কিনা তাও আমার জানা নেই।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে কথা হয়নি বলে জানালেন শাকিব খান।
চলতি বছর মুক্তি পাওয়া আলোচিত শাকিব খান-অপু বিশ্বাস জুটির ‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রে অটোরিক্সা চালক ইজাজুল মিয়ার ফোন নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছে। চলচ্চিত্রের ২৬ মিনিট ১২ সেকেণ্ডের সময় ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিজের মোবাইল নাম্বার দেন শাকিব খান। যা ছিলো ইজাজুলের নাম্বার।
এরপরে গত ৭ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই ইজাজুলের ফোনে ৪৩২ বার কল এসেছে। যারা সবাই শাকিবকে খুঁজেছে। শাকিব খানকে না পেয়ে ইজাজুলকে প্রতারক বলেছে অনেকে, হুমকিও দিয়েছে। ইজাজুল নিজেকে শাকিব খান নয় বলার পরও খুলনা থেকে এক গৃহকর্মী চলে আসে ইজাজুলের বানিয়াচংয়ের বাড়িতে। তা নিয়ে বাবা-মা ও স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় ইজাজুলের। তার সংসার ভাঙারও উপক্রম হয়। ফোনের যন্ত্রণায় অটোরিকশা চালাতে সমস্যা হওয়ায় মালিক তার গাড়ি ফিরিয়ে নিয়েছে।
ইজাজুলের ফোনের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বাদীর আইনজীবী বলেন, বাদী অতিষ্ঠ হয়ে ফোনটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরেকটি নম্বর ব্যবহার করছেন।
হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহানের আদালতে ইজাজুল মিয়ায় দায়ের করা ৪২০ এবং ৫০০ ধারায় প্রতারণা এবং মানহানি মামলাটির শুনানি ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।