চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্রিটেনের নির্বাচনে ফেসবুকে সংবাদ শেয়ারে সমস্যা বনাম তথ্যের অবাধপ্রবাহ

ব্রিটেনের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন সেদেশের জনগণ। এই নির্বাচনের পর কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এবং লেবার পার্টির জেরেমি করবিনের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। জরিপের ফলাফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটর ৪ কোটি ৬৯ লাখ। ভোটে সাড়ে ৬০০ এমপি নির্বাচিত হবেন। এবার ব্রিটেনের নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনের দিন ফেসবুকে গণমাধ্যমের অনলাইন সংবাদের লিংক এবং সংবাদ শেয়ার করা যাচ্ছে না। নির্বাচনে ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এই সামাজিক মাধ্যমটিকে। কারণ নির্বাচনে অংশ নেয়া সব দলই ফেসবুক প্রচারণায় লাখ লাখ পাউন্ড খরচ করেছে। যদিও নির্বাচনের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে কোন সংবাদের লিংক পোস্ট-শেয়ার দিতে না পারাকে বড় সমস্যা হিসেবে দেখছে ব্রিটেনভিত্তিক গণমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ফেসবুকের এই সমস্যায় বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যমগুলোর অনলাইন সংবাদের পাঠক কমে গেছে। কারণ অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পাঠক টানতে ফেসবুক একটি কার্যকর মাধ্যম। তবে ফেসবুকে সংবাদ শেয়ার-পোস্ট দেয়ায় সমস্যাটা নতুন নয়। তারপারও গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন চলাকালেই এমন সমস্যা হওয়ায় নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। কারণ যুক্তরাজ্যে ফেসবুকের অন্যান্য নিয়মিত সুবিধা ঠিকঠাক কাজ করলেও কেবল কোন সংবাদের লিংক পোস্ট কিংবা শেয়ার করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকেও অনেক নিউজ ফেসবুকে শেয়ার করতে কিছুটা সমস্যা দেখা গেছে। বাংলাদেশে নির্বাচনের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকতো, পরে অবশ্য সে ব্যবস্থা উঠে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ পরবর্তী সময়ে দেশে নাটকীয়ভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারী বেড়ে যেতে থাকে। সেসময় নানা ধরনের প্রচার-অপ্রচারের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। তবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে সে প্রবণতা এখন কমে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে ‘ভুয়া সংবাদ’ প্রচার বন্ধ করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কঠোর হয়েছে। সে ধারায় ব্রিটেনের  নির্বাচনকালীন অপপ্রচার ও প্রোপাগাণ্ডা রোধ করতে কোন ধরনের নিরাপত্তা ফিল্টার বসিয়ে থাকতে পারে বলে অনেক গণমাধ্যম উল্লেখ করেছে। তবে ফেসবুকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ব্রিটেনের নির্বাচনের সময়ে ফেসবুকের এই কারিগরী আচরণের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইদিকই আছে বলে আমরা মনে করি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তথ্যের অবাধপ্রবাহ যেমন নিশ্চিত থাকতে হবে, তেমনি অবাধ গণতন্ত্রের সুযোগে যেন কারিগরী সুবিধা ব্যবহার করে কোন অপচেষ্টা না হয় তাও দেখতে হবে।