সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি এবং ছাত্রশিবির করার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন চত্বরের সামনে তাকে মারধর করা হয়। এতে তার মুখ ও হাত ফুলে যায়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
মারধরের শিকার শেখ জসিম উদ্দিন বিজয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কার আন্দোলনে তাকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার তার বিভাগের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকছিলেন বিজয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আসলে তাকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আটক করে।
এরপর তাকে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাস্টাসের কথা জিজ্ঞাসা করে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান সেখানে উপস্থিত হলে বিজয়কে প্রক্টরের হাতে সোপর্দ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে প্রক্টর দপ্তরেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে ডাইনী বলে কটূক্তি করায় আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি তার সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততা আছে। তখন আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে দিয়ে দেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, বিজয়কে প্রক্টর দপ্তরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের সাথে কথা বলে পরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বুধবার বেলা ১১টায় পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।
এসময় প্রশাসন ভবনের সামনে আসা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সিনেট ভবন চত্বরে নিয়ে মারধর করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে বিজয়কে ছাড়া অন্য কাউকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।