অপরাধ তদন্তের জন্য মেসেঞ্জারে আড়িপাতার সুযোগ করে দিতে ফেসবুককে বাধ্য করতে পারলো না যুক্তরাষ্ট্র। কারণ মেসেঞ্জারের ভয়েস কলে আড়িপাতার সুযোগ পাওয়ার আইনি লড়াইয়ে হেরে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা।
এমএস-থার্টিন নামের ভয়ঙ্কর একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এবং স্টেট টাস্ক ফোর্সের তদন্তকারীরা মেসেঞ্জারে আড়িপাততে চেয়েছিল। এজন্য ফেসবুককে বাধ্য করতে আদালতে গিয়েছিল তারা।
কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনো ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে তদন্তকারী ও ফেসবুকের যুক্তিতর্কের পর অবশেষে ফেসবুকের পক্ষেই রায় এলো।
আগস্টে মেসেঞ্জারে সরকারের এই আড়িপাততে চাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হলে ফেসবুকের মতো অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শঙ্কা দেখা দেয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইনে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুলিশকে ফোন কলে আড়িপাতার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু অ্যাপভিত্তিক টেলিযোগাযোগের বিষয়টি এর বাইরে।
অপরাধীর ফোনে এবং অ্যাপভিত্তিক যোগাযোগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রবেশের চেষ্টা নতুন নয়। এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল অ্যাপল। কারণ ২০১৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির একটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে রিজওয়ান ফারুক (২৮) ও তাশফিন (২৭) দম্পতির চালানো জঙ্গি হামলার সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের যোগাযোগ খতিয়ে দেখতে তাদের আইফোনে প্রবেশাধিকার চেয়েছিলো তদন্তকারীরা। অ্যাপল তাতে রাজি না হওয়ায় বিকল্প উপায়ে আইফোনে প্রবেশ করা হয়।