এ বছরের প্রথমার্ধে ফেসবুকের কাছে মোট ৪৪ ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়েছে সরকার। এছাড়াও ১১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ফেসবুক জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মোট ২০টি অনুরোধ করা হয়েছে যেখানে তথ্য চাওয়া হয়েছে মোট ২১টি অ্যাকাউন্টের। এর বিপরীতে ১৮.৬০ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে ফেসবুক।
জরুরি প্রয়োজনে আরও ২৪টি অনুরোধের মাধ্যমে ২৩টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল সরকার। এক্ষেত্রে ফেসবুক ৬৭ শতাংশ তথ্য দিয়েছে। সব মিলিয়ে ফেসবুকের তথ্য প্রদানের হার ৪৫ শতাংশ।
উভয়ক্ষেত্রেই আগের চেয়ে তথ্য প্রদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১০টি অনুরোধের মাধ্যমে ৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল সরকার। এর বিপরীতে মাত্র ২০ শতাংশ তথ্য প্রদান করা হয়েছিল।
একই বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাওয়া হয়েছিল মোট ৫৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য। এসময় ফেসবুকের দেওয়া তথ্যের পরিমাণ ছিল ২৪.৪৯ শতাংশ।
ফেসবুকের এ প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ১১টি অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন রেকর্ড সংরক্ষণ (প্রিজারভেশন রিকুয়েস্ট) করতে ১০টি অনুরোধ করেছিল সরকার। মূলত অপরাধ তদন্ত সংক্রান্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ অনুরোধ করা হয়ে থাকে।
তবে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করলেও এ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কনটেন্ট ব্লক করার জন্য ফেসবুকের কাছে অনুরোধ করা হয়নি।
কোনো দেশের সরকারের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে কিংবা কনটেন্ট ব্লক করার জন্য কী পরিমাণ অনুরোধ জমা পড়ে, সেগুলো তুলে ধরতে এ ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করে ফেসবুক। প্রতি বছর দু’বার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
তবে ঠিক কী ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে কিংবা কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে, সেসব বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয় না এ প্রতিবেদনে।