সম্পর্ক, বিচ্ছেদ, স্মৃতি খুঁজে ফেরা, মুক্তি, বন্দী জীবন, আত্মনিয়ন্ত্রণ, অবসাদ, বিভ্রম ও অন্তিমযাত্রা। প্রথাগত ধারণার বাইরে গিয়ে এই নয়টি বিষয় নিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা অমিতাভ রেজা। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আসছে ১১ এপ্রিল ওয়েব প্লাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পাবে সিরিজটি। আর এই ওয়েব সিরিজেও ‘ট্রাম্পকার্ড’ হিসেবে হাজির নির্মাতার ভাষায়, ‘আমার বন্ধু শরীফুল’!
‘আয়নাবাজি’তেও রসদ যুগিয়েছে শরীফুল ইসলাম। পর্দায় খুব অল্প সময়ের উপস্থিতি ছিলো তার, তবুও দর্শকের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে নেয় মেধাবী এই শিশু অভিনেতা। অমিতাভ রেজার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘ঢাকা মেট্রো’তেও তাই তাকে রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে!
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে হয়ে গেলো ‘ঢাকা মেট্রো’র ট্রেলার লাঞ্চিং ও সংবাদ সম্মেলন। যেখানে নতুন এই ওয়েব সিরিজটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অভিনেতা, অভিনেত্রীসহ উপস্থিত ছিলেন ওয়েব প্লাটফর্ম হইচই-এর কর্তাব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে নতুন এই ওয়েব সিরিজটির নির্মাণ ভাবনা, স্ক্রিপ্ট ও শুটিং সময়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অমিতাভ রেজা। এরপর অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘ঢাকা মেট্রো’র প্রধান দুই চরিত্রকে টিজারের মাধ্যমে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। প্রথম জন কুদ্দুস। যিনি পুরোদমে কর্পোরেট একজন মানুষ। শহুরে জীবনের বিশৃঙ্ক্ষলা ও বিষণ্নতাকে পেছনে ফেলে যে পারি দেয় নিজেকে নতুন করে চেনার এক সফরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন নেভিল ফেরদৌস হাসান। এরকম আরেক জার্নির ভেতর দৌড়াচ্ছেন জয়গুন। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপি করিম।
নিজেকে নতুন করে চেনার এই সফরে আরেকটি নাম রহমান। যে মাদ্রাসা পলাতক। ট্রেলার লাঞ্চিং অনুষ্ঠানে রহমান চরিত্রটি অন্য মাত্রা যোগ করে। ‘ঢাকা মেট্রো’তে তার অভিনয়, সংলাপ বলার ভঙ্গি সবকিছু যে দর্শক পছন্দ করবেন, সে ইঙ্গিতই দিলেন নির্মাতা।
ব্যক্তিগত টিজার দেখানোর পর মঞ্চে ডাকা হয় শরীফুলকে। সেও তার শুটিং অভিজ্ঞতার কথা জানান। মজা করে বলেন, আমার বন্ধুর (অমিতাভ রেজা) কাজ করলে অনেক মজা করি সবাই। ‘ঢাকা মেট্রো’ আমরা অনেক মজা করে করেছি।
এরপর অমিতাভ জানালেন, শরীফুল হচ্ছে কপিক্যাট! তাকে যা শিখিয়ে দেয়া হয় তাই ডেলিভারি করতে পারে। ‘ঢাকা মেট্রো’তেও শরীফুলের অভিনয়, তার উপস্থিতি দর্শককে বিনোদিত করবে!
ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন