অক্টোবরের শেষদিকে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ চূড়ান্ত হওয়ার খবরটি টাইগার ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় খুশির।
বাংলাদেশের মারকুটে ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার মাঠে নামার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। শ্রীলঙ্কা সফর চূড়ান্ত হওয়ায় তার আনন্দ হচ্ছে খুব।
‘অবশ্যই স্বস্তির যে খেলা শুরু হতে যাচ্ছে আমাদেরও। যখন খেলা দেখতাম ইংল্যান্ডের তখন খারাপ লাগত, আমরা কবে খেলব! ভালোও লাগতো যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হয়েছে। গতকাল (বুধবার) শুনেছি সফর নিশ্চিত হয়েছে, নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে।’
২০২০ সালটি ক্রিকেটারদের ব্যস্ত সূচির মাধ্যমে পার করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে চার মাস বিশ্বজুড়ে কোনো খেলাধুলাই হয়নি। স্থগিত হয়েছে একের পর এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। পিছিয়েছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ।
ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ডের পর অপেক্ষা ফুরাচ্ছে বাংলাদেশের। ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়বে মুমিনুল হকের দল। প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে টাইগারদের।
বৃহস্পতিবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেরে ভিডিও বার্তায় জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য বলেছেন ঘরবন্দি থাকার সময়টা দারুণ উপভোগ্য হতো যদি ক্রিকেট খেলাটা চলত।
‘অন্য সবদিক দিয়ে চিন্তা করলে ভালো, শুধু একটা দিক দিয়ে খারাপ কেটেছে। শুধু খেলাটা ছিল না। বাকি জিনিসটা, পরিবারকে সময় দিতে পেরেছি। প্রথম দিকে একটু খারাপ লাগতো, পরের দিকে মানিয়ে নিয়েছি। যদি খেলা থাকতো তাহলে আমার কাছে মনে হয় কোয়ারেন্টাইনটা অনেক ভালো ছিল (হাসি)।’
পরিস্থিতি এবং পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একমাস আগেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। সৌম্য মনে করেন এই সময়টা অনুশীলনের মধ্যে থাকতে পারলে দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট সিরিজ খেলা খুব একটা সমস্যায় ফেলবে না দলকে।
‘প্রথম সব জিনিসই একটু অন্যরকম থাকে। আমার কাছে মনে হয় একমাসে আগে যদি যাই, তাহলে দলে সবাই অনুশীলনের মধ্যে থাকবে। একটু বেশি হলেও ঐ যে বললাম নিরাপত্তার কারণে করতে হবে। এটাও টিম ওয়ার্ক হিসেবেই ধরতে হবে।’