সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্দা উঠেছে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের। বৃহস্পতিবার আসরের প্রথমদিনে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে ফেভারিটদের অন্যতম ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।
ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরাত
দুবাইয়ে গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচে স্বাগতিক আমিরাতকে উড়িয়ে ১৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানের জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত।
টসে জিতে আগে ব্যাট করা টিম ইন্ডিয়া ৫ উইকেটে ২৮৩ রান তোলে। ওপেনার হারনুর সিং ১১ চারে সেঞ্চুরি হাঁকান, ১২০ রান করেন। ইয়াশ ধুল ৬৩ এবং রাজবর্ধন হাঙ্গার্গকার ২৩ বলে ৬ চার ও দুই ছক্কার মারে ৪৮ রানের ঝড় ইনিংস দিয়ে অপরাজিত থাকেন।
আমিরাতের আলিশান শারাফু পান ২ উইকেট।
জবাবে আমিরাত ৩৪.৩ ওভারে ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ওপেনার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কাই স্মিথ ৪৫ রান করেন।
ভারতের ব্যাট হাতে ফিফটি করা রাজবর্ধন বল হাতেও ছিলেন সফল, ৯ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। দুইটি করে উইকেট নেন গার্ভ সাঙ্গয়ান, ভিকি অসওয়াল এবং কুশাল তাম্বে। ভিকির কথা বিশেষভাবে বলতে হয়, ৬.৩ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- ভারত: ২৮৩/৫ (৫০.০), আমিরাত: ১২৮ (৩৪.৩)
শ্রীলঙ্কা-কুয়েত
কুয়েতকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে শ্রীলঙ্কা, ২৭৪ রানের বিশাল জয় পেয়েছে তারা।
টসে জিতে ব্যাটে নামা লঙ্কানদের কোনো ব্যাটার সেঞ্চুরি পাননি। সবার মিলিত পারফরম্যান্স, ৪ ফিফটির কল্যাণে রানপাহাড় গড়ে দলটি। ৫ উইকেটে তোলে ৩২৩ রান। চারে ব্যাট করতে নামা পাওয়ান পাথিরাজা ৭২ বলে ১১ বাউন্ডারিতে করেন সর্বাধিক ৮৬ রান।
কাকতালীয়ভাবে দুই ওপেনার চামিন্দু বিক্রমাসিংহে এবং শেভন ড্যানিয়েল ৫৪ রান করে ফেরেন। পাঁচ নম্বরে নামা রানুদা সমারাথনে করেন অপরাজিত ৬০ রান।
কুয়েতের জিশান আজিম ও হাবিয়ের আলী ২টি করে উইকেট নেন।
বল হাতেও লঙ্কান বোলাররা ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক-ওপেনার মিত ভাবশ্বর ২৫ এবং আরেক ওপেনার জুডে সালডানহা ১২ রান করেন। বাকিরা দুই অঙ্কের দেখা পাননি। ১৭.৩ ওভারে মাত্র ৪৯ রানে তারা অলআউট হয়।
ধ্বংসযজ্ঞে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার দুনিথ ওয়েলাগে, ১.৩ ওভার বল করে দুই রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। কম যাননি সাদিশহা রাজাপাকসে, ৫ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- শ্রীলঙ্কা: ৩২৩/৫ (৫০.০), কুয়েত: ৪৯ (১৭.৩)
আফগানিস্তান-পাকিস্তান
বল হাতে আফগান ব্যাটারদের ধরাশায়ী করলেও ব্যাটে নিজেরা অস্বস্তিকর অবস্থার ভেতরে পড়েছিল পাকিস্তান। অল্প রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। টসে জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেয়া পাকিস্তান, প্রতিপক্ষকে ২৩.১ ওভারে মাত্র ৫২ রানে গুঁড়িয়ে দেয়।
আফগান ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে নানগেইয়ালিয়া খারোতে করেন সর্বাধিক ১৫ রান। বাকিরা দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। আহমেদ খান ৩টি, জেশান জামির ও আওয়াইস আলী নেন ২টি করে উইকেট।
ব্যাটে বিধ্বস্ত হয়ে বল হাতে জ্বলে ওঠে আফগানিস্তান। ১৬.৪ ওভারে ৫৩ রান করতে পাকিস্তানের ঘাম ছুটে যায়, উইকেট হারায় ৬টি। ওপেনার মাজ সাদাকাতের ৪৬ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের মাহাত্ব ছিল বেশ।
সবাই যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত, এ ব্যাটার আরেক প্রান্ত আগলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হাশেবউল্লাহ খান ১১ রান করেন। আফগানিস্তানের নুর আহমেদ ২০ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট। বিলাল সামি ১৬ রানে নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- আফগানিস্তান: ৫২ (২৩.১), পাকিস্তান: ৫৩/৬ (১৬.৪)