খাজা নাজিম উদ্দিন ঊর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথে বাংলাকেই রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন আরো জোরদার হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে থাকে সভা সমাবেশ। পতাকা দিবস পালন করে মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিনের ঘোষণার পর থেকে বাংলা ভাষার আন্দোলন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেল তলায় সভা করা হয়।
ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি বেলতলার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি অ্যাসেম্লিতে পুরো পূর্ব বাংলায় সভা, মিছিল, মিটিং প্রতিপালিত হবে। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ সমর্থন জানায়।
ভাষা সংগ্রামী কামাল লোহানী বলেন ছাত্ররা ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে ছাত্ররা ধর্মঘট করার কথা চিন্তা করলেন এবং মিছিল করে জগন্নাথ হলের মিলনায়তন পূর্ববঙ্গের ব্যবস্থাপক পরিষদে যাবেন সিদ্ধান্ত ছিল।
পতাকা দিবসেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২১ শে ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে যাবেন ছাত্র জনতা।বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে গণপরিষদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে প্রত্যন্ত অঞ্চল সফর করেন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
ভাষা সংগ্রামী রওশন আরা বাচ্চু বলেন, আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে আমরা বলে এসেছিলাম ভাষা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে।আর ২১ শে ফ্রেবুয়ারি আইন সভার বৈঠকে এই দাবিকে তুলে ধরা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ সহ ঢাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত হয় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবির আন্দোলনে ।